বসিরহাটের জনসভা থেকে ব্যবধান ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেಞক বন্দ্যোপাধ্যায়। চার লাখ ভোটের ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারাবেন বলে দাবি করেছিলেন। এবার সেই দাবিকে বাস্তবায়িত করতে আসরে নামছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। এবার নিজের কেন্দ্রে ꧋প্রচারে আগামী ২৭, ২৮ এবং ২৯ মার্চ পর পর তিনদিন উপস্থিত থাকবেন তিনি। নেতা–কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করবেন অভিষেক। বিধানসভা ভিত্তিক এই বৈঠক আমতলা দলীয় কার্যালয়ে হবে। সেখানে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার থেকে ভোট পরিচালনা গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন অভিষেক। তাই সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের নেতৃত্বের সঙ্গে ভোট প্রস্তুতি বৈঠক করবেন তিনি বলে সূত্রের খবর।
এদিকে আগামী ২৭,২৮ এবং ২৯ তারিখ সাতটি বিধানসভার নেতৃত্বের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠকে বসবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের ব্লু প্রিন্ট ওই বৈঠকেই তৈরি হবে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ৩ লাখ ২১ হাজার ভোটের ব্যবধানে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্র থেℱকে জয়ী হন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও ডায়মন্ডহারবার থেকে অভিষেক প্রার্থী। বসিরহাটের জনসভা থেকে অভিষেক নিজেই জানিয়ে দেন এবারে তাঁর জয়ের ব্যবধান কত হবে। আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে গেলে এই তিনদিনে তিন দফার বৈঠকে স্ট্র্যাটেজি সাজাতেই হবে। আজ, শুক্রবার অভিষেকের সভা রয়েছে কাটোয়ায়। জেলাওয়াড়ি সভা তিনি শুরু করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আজ আবার নয়াদিল্লি যাচ💧্ছেন সুকান্ত–শুভেন্দু, জট কাটাতেই কি ফের রাজধানী সফর?
অন্যদিকে এই জেলাওয়াড়ি সভাতেই যুক্ত হচ্ছে ডায়মন্ডহারবার। তবে সেখানে কবে সভা করবেন অভিষেক? সেটা এখনও জানা যায়নি। তবে তাঁর নিজের লোকসভা কেন্দ্রে এই তিন দিনে আড়াই থেকে তিনশো নেতা–কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করবেন অভিষেক বলেই সূত্রের খবর। বসিরহাটের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপ♔াধ্যায় বলেন, ‘এবার ডায়মন্ডহারবারে চার লক্ষের ব্যবধানে বান্ডি♛ল করে দিল্লি পাঠাব। আপনাদের সাহায্যে বসিরহাটের জয়ের ব্যবধান চার লাখ হবে তো? আগেরবার সাড়ে তিন লাখ ছিল। এবারে আরও ৫০ হাজার বাড়াতে হবে।’ আর তা করতেই এখন থেকে উদ্যোগী অভিষেক।
এছাড়া নির্বাচন কমিশনের নির্ঘণ্ট অনুযায়ী, সপ্তম তথা শেষ দফায় ভোট রয়েছে এই ডায়মন্ডহারবারে। যার তারিখ ১ জুন। কিন্তু হাতে সময় থাকলেও কোনও ঢিলেমি দিতে রাজি🔴 নন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ তিনি বিজেপির স্ট্র্যাটেজি ধরে ফেলেছেন। বিজেপি চায় সময়ের গতিতে তৃণমূল কংগ্রেস ঢিলে দিক প্রচারে। আর সেই সুযোগে বেরিয়ে যাওয়া যাবে। যদিও কোনও কেন্দ্রেই এটা যেন না হয় বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের শীর্ষ স্তর থেকে। আ⭕র অভিষেককে হারানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। সুতরাং জোর লড়াই শুরু হবে। বিজেপি এখানে কাকে প্রার্থী করে সেটাও দেখার বিষয়। এই আবহে জয়ের পথ মসৃণ করতে নিজের গড়ে স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণ করতে চান অভিষেক।