বিধায়ক তখন মঞ্চে। আর তখনই তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপির মধ্𝓰যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হল। তখন কর্মীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। তার জেরে চলে ব্যাপক ভাঙচুর। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খান সমবায় সমিতির কর্মী থেকে অফিসাররা। আজ, সোমবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মহিষাদলের এক সমবায় সমিতির অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠান চলাকালীন চেয়ার ছোড়াছুড়ি ꦦথেকে মারামারি করতে দেখা যায় দু’পক্ষের কর্মীদের মধ্যে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হন বলে খবর। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। শাসকদল অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে।
এদিকে মহিষাদলের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের সামনেই ‘চোর ধরো, জেল ভরো স🐻্লোগান’ দেয় বিজেপি। যার প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীর সামনেই মারপিট, চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়। শুভেন্দু অধিকারীর উস্কানিতেই অশান্তির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কের। এই গণ্ডগোলে বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান–সহ বেশ কয়েকজন জড়িত বলে বিধায়কের দাবি। মহিষাদলের কেশবপুরের লক্ষ্যা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে এই পরিবেশ প্রথম দেখা যায়। লক্ষ্যা–২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান রামকৃষ্ণ দাস এবং বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীর বাক্যযুদ্ধ হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় পরস্পরকে দুষে বাক্যবাণ শুরু হয়।
অন্যদিকে আজ মহিষাদল থানা এলাকার রাধাকৃষ্ণ সমবায় সমিতির শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠান হয়। সেখানেই অনুষ্ঠান চলাকা𝓡লীন ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। অনুষ্ঠান মঞ্চে তখন উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী। বিধায়ক উপস্থিত থাকাকালীনই মঞ্চে তৃণমূল–বিজেপি দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা, তারপর শুরু হয় মারামারি। একে অপরকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়তে দেখা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করে। যদিও এলাকায় তীব্র উত্তে𝓀জনা চলতে থাকায় অবশেষে অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যান তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী। যা নিয়ে জোর উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: ‘অনুমতি দিতে হবে পুলিশকে’, বিজেপির ধর্মতলার স🦩ভায় সম্মতি কলকাতা হাইকোর্টের🐠
আর কী জানা যাচ্ছে? এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় ♈তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী এবং ব্লক ও জেলাস্তরের প্রশাসনিক–ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু অনুষ্ঠানে ডাক পাননি বিজেপি পরিচালিত ইটামগরা–২ পঞ্চায়েতের প্রধান রামকৃষ্ণ দাস। দুপুরে অনুষ্ঠান শুরু হতেই রামকৃষ্ণ তাঁর অনুগামীদের নিয়ে মঞ্চের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখান। সেখান থেকেই জল এতদূর গড়ায় বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে রামকৃষ্ণ দাস বলেন, ‘এলাকার মানুষের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে বাদ দিয়ে বহিরাগতদের নিয়ে এসে শতবর্ষ প্রাচীন সমবায়ের অনুষ্ঠান পালন করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা তার প্রতিবাদ করেন। আমি ছাড়াতে গেলে ওরা আমাকে নিগ্রহ করে।’ পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, ‘বিজেপি তো এই কাজই করে। ওঁদের জেলার নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যেভাবে উস্কানি দিচ্ছেন, সেভাবেই কাজ করছেন। তিন হাজার লোকের সমবায়, শান্তিপূর্ণ মিটিং চলার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরি করল। দেখুক মানুষ দেখুক, ওঁরা কী করছে। এটা নজিরবিহীন।’