একমাস আগে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন⛎ বন সহায়ক কর্মী। তাই শরীর এখন দুর্বল থাকায় একদিন অনুপস্থিত ছিলেন অফিসে। এই অনুপস্থিত থাকার জেরে মালদা ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসের মধ্যেই অস্থায়ী বন সহায়ক কর্মীকে বাঁশপেটা করার অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগ উঠেছে মালদা ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার প্রদীপ কুমার গোস্বামীর বিরুদ্ধে। তার জেরে ইংরেজবাজার থানায় এই ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত বন সহায়ক কর্মী সুকুমার মণ্ডল। এখন তিনি মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারা হয় ও🔯ই বন সহায়ক কর্মীকে বলে অভিযোগ।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? ডেঙ্গির পর শরীর দুর্বল ছিল বন সহায়ক সুকুমার মণ্ডল নামে কর্মীর। তাই একদিন তিনি অফিসে আসতে🦂 পারেননি। পরের দিন যথারীতি হাজির হতেই ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার প্রদীপ কুমার গোস্বামীর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। সুকুমার বাবুকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কেন অফিসে আসেননি? জবাবে সুকুমারবাবু ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার প্রদীপ কুমার গোস্বামীকে জানান, তাঁর জ্বর হয়েছিল। তাই আসতে পারেননি। এই কথা শুনে প্রদীপকুমার গোস্বামী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন সুকুমার মণ্ডল কে। সেটারই প্রতিবাদ করেন সুকুমার মণ্ডল। আর তখনই ওই ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে একসঙ্গে মিলে বাঁশ দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই গণপিটুনি খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বন সহায়ক কর্মী সুকুমার মণ্ডল। তাঁকে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। তবে অসুস্থ অবস্থাতেই সুকুমারবাবু বলেন, ‘অকথ্য ভাষায় গালাগাল করছিল বলে আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। তখন রেঞ্জ অফিসার কয়েকজন কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে আমার কাছে𒈔 আসে এবং বাঁশ দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। হাতে এবং পায়ে চোট পেয়েছি।’ তবে এই ঘটনাটি নিয়ে ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার প্রদীপ কুমার গোস্বামী সংবাদমাধ্যমে কিছু বলতে চাননি। এই ঘটনার পর ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার জিজু জেসপার খতিয়ে দেখছেন।
আরও পড়ুন: তিন﷽ বিজেপি বিধা𓄧য়ককে তলব করল কলকাতা পুলিশ, গুন্ডাদমন শাখার সামনে হবে জিজ্ঞাসাবাদ
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনার পর সুকুমারবাবুর পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসারেরဣ বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। মুখে কুলুপ এঁটেছেন ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার প্রদীপকুমার গোস্বামী। ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার জিজু জেসপার এই ঘটনার কথা জানতে পেরে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে সূত্রের খবর। তবে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তি♕তে এই মারধরের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।