অযোধ্য়ায় রামমন্দিরকে কেন্দ্র করে গোটা দেশজুড়ে উৎসাহের পারদ ক্রমশ চড়়ছে। তবে তার মধ্য়েই এবার বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ঘোষণা করলেন বাংলায় তীর্থস্থান ক্রমশ বাড়ছে।বৃহস্পতিবার চাকলায় লোকনাথ মন্দিরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী বাংলার তীর্থক্ষেত্রের প্রসঙ্গ তোলেন। শুধু চাকলাতে নয়, কচুয়াতেও উন্নয়নের কাজ হয়েছে বলে দাবি মমতার। সেই সঙ্গেই দিঘাতে জগন্নাথ মন্দিরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তিনি। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে ঘিরে আশার কথা শোনালেন মমতা।আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্য়ায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করা হবে। আর দিঘার জগন্নাথ মন্দির প্রস্তুত হয়ে যাবে আগামী ৬ মাসের মধ্য়ে। খোদ মুখ্য়মন্ত্রী এনিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। মমতা বলেন, আগামী ৬ মাসের মধ্য়ে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির প্রস্তুত হয়ে যাবে। আরও তীর্থক্ষেত্র বাড়বে। আমরা তীর্থস্থান জোড়ার চেষ্টা করছি। সবাই বলছে বাংলায় এখন পর্যটনের সেরা গন্তব্য। সেই সঙ্গেই তিনি জানান, দিঘায় বেড়াতে গেলে জগন্নাথ মন্দিরে ঘুরে আসতে পারেন।একদিকে গোটা দেশজুড়ে রামমন্দিরকে কেন্দ্র করে উৎসাহ চরমে। বাংলা থেকেও প্রচুর পর্যটক অযোধ্য়ায় যাওয়া শুরু করেছেন। অনেকের মতে, লোকসভা ভোটের আগে রামমন্দির ইস্যুকে সামনে এনে হিন্দু ভোটকে এককাট্টা করতে চাইছে বিজেপি। তবে এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও অবশ্য বার বারই সম্প্রীতির কথা বলেন।মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, যুগপুরুষ লোকনাথ ঠাকুর মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করতেন না। হিন্দু-মুসলমান করতেন না। তাঁর কাছে ধর্ম ছিল মানবিকতা, ভালোবাসা। কিন্তু এখন অনেকেই ভোটের সময় ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেন। সারাবছর তাঁদের নিপীড়ন করেন। সেই সঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দাবি করেন, লোকনাথের সমস্ত গান তিনি জানেন।চাকলায় তিনি জানিয়েছেন, মতুয়াদের বড়মাকে আমি দেখতাম। তার চিকিৎসা করেছি। আমরা মতুয়াদের জন্য অনেক করেছি। কলেজ, হাসপাতাল করেছি। কাজেই আমাদের বাংলা ধর্মীয় তীর্থস্থানের জায়গা। এই বাংলা একতার জায়গা।লোকনাথ মন্দিরকে নিয়ে তিনি স্মৃতিচারণা করেন। তিনি বলেন, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন আমি এসেছিলাম। মন্দির চত্বরে গেট, ভোগ ভবন, টিকিট কাউন্টার, ফুলের দোকান, পুকুরের সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে দাবি করেন মমতা।