সম্পর্ককে সহজ করতে গ্রেটার কোচবিহারের নেতা অনন্ত মহারাজকে ভাইফোঁটার উপহার পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পাঠানো উপহার অনন্ত মহারাজের হাতে তুলে দেন প্রাক্তনমন্ত্রী তথা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও তৃণমূলের আলিপুর জেলার সহ-সভাপতি প্রেমানন্দ দাস।বৃহস্পতিবার চকচকায় মহারাজের বাড়িতে গিয়ে উপহার তুলে দেন তাঁরা। সেই উপহারে ছিল পাঞ্জাবী, শাল চাদর, ফুল ও মিষ্টি। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া উপহার তিনি গ্রহণ করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়ার জন্য আন্ডি চাদর ও রাজবাংশীদের বিশেষ গামছা এবং তম্বুল পান ররীন্দ্রনাথ ঘোষদের হাতে তুলে দেন।পরে অনন্ত মহারাজ বলেন,'ভাতৃদ্বিতীয়ায় দিদির হাত থেকে উপহার পেয়ে খুব ভালো লাগছে। এর জন্য দিদিকে অসংখ্য ধন্যবাদ।' রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, 'আমরা দিদির দেওয়া উপহার ওঁর হাতে তুলে দিলাম। উনি দিদির জন্য উপহার দিয়েছেন। সেগুলি আমরা পাঠিয়ে দেব।' প্রশ্ন হল এই উপহার আদান-প্রদানে কি বরফ গলবে? কারণ, এক সপ্তাহ আগেই শিলিগুড়িতে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী দরাজ প্রশংসা করে মহারাজ। সেই মঞ্চে বাংলা ভাগের তীব্র বিরোধিতা করেন মুখ্য়মন্ত্রী। কিন্তু তার পর মঞ্চ থেকে নেমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন। তিনি বলেন,'কোচবিহার পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে নয়, আলাদা। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে।' তাঁর কাছে প্রমাণ আছে বলেও দাবি করেন অনন্ত মহারাজ।'তাই ভাতৃদ্বিতীয়ার উপহারে কি আলাদা কোচিবিহারের দাবিতে 'কাঁটা' পড়বে সে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। তবে সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। গত বিধানসভা নির্বাচনে অনন্তর সমর্থন নিয়ে ভালো ফল করেছে বিজেপি। তাই এবার তৃণমূল চাইছে মহারাজের সমর্থন ঘুরুক তাদের দিকে। কারণ, পঞ্চায়েতের পরেই রয়েছে লোকসভা ভোট। যদিও গ্রেটার নেতার দাবি, এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই।