গ্রাম, শহরতলি বা অন্যান্য রাজ্য থেকে যাঁরা ভারতের কোনও বড় শহরে থাকতে যান, তাঁদের যে তার জন্য কী পরিমাণ অর্থ ব্যায় করতে হয়, তা নিয়ে আজকাল হামেশাই চর্চা হয়।বিশেষ করে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরুর মতো শহরে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকা মানেই বিরাট ঝক্কি। নিম্নবিত্ত তো বটেই, অনেক সময় তা মধ্যবিত্তেরও নাগালের বাইরে থেকে যায়।এই যখন দেশের অবস্থা, ঠিক তেমন একটা সময় একজন এক্স ব্যবহারকারীর একটি পোস্ট নজর কেড়েছে নেট নাগরিকদের। কারণ, ওই যুবক তাঁর ঘর ভাড়া নিয়ে যে দাবি করেছেন, তা যে কারও অবাস্তব বলেই মনে হবে।এক্স হ্য়ান্ডেলে ভাইরাল ওই পোস্টটি যিনি করেছেন, তাঁর নাম মণীশ আমন। আদতে বিহারের বাসিন্দা মণীশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাঁর ডাক্তারির পড়াশোনা করছেন। বর্তমানে তিনি এমবিবিএস ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র।তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি সুন্দর, সাজানো, গোছানো ঘরের বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেইসঙ্গে, মণীশ জানিয়েছেন, পড়াশোনার জন্য আপাতত তাঁকে থাকতে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী শহরে। আর যে ঘরে তিনি থাকছেন, তার জন্য মাসে ঘর ভাড়া দিতে হচ্ছে মাত্র ১৫ টাকা!মণীশের কথায়, 'আমি মাসিক ১৫ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে এই সিঙ্গল রুম এবং অ্যাটাচ্ড বাথরুম নিয়ে থাকছি।' এনডিটিভি-র প্রতিবেদন অনুসারে, ওই ছাত্র দাবি করেছেন, এইমসের তরফে পড়ুয়াদের জন্য ভর্তুকিতে থাকার যে ব্যবস্থা করা হয়েছে, তার জন্যই নাকি তিনি এই সুবিধা লাভ করতে পারছেন।যদিও মণীশের এই দাবি আদৌ সত্যি কিনা, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ কেউ আবার এই ভাইরাল পোস্টের লেখা পড়ে মুম্বই আর পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণীর মধ্যে তুলনা করতে শুরু করে দিয়েছেন।তাঁদের বক্তব্য, ১৫ টাকায় মুম্বই শহরে খুব বেশি হলে বাসের একটি টিকিট, কিংবা রাস্তার দোকান থেকে কোনও সস্তার খাবার কেনা যেতে পারে।আরও একজন এক্স ব্যবহারকারী তো রীতিমতো মণীশকে ব্যবসায়িক বুদ্ধি দিয়েছেন। তাঁর প্রস্তাব, 'আমার মনে তোমার এই ঘরটি মাসিক ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে আরও একজনকে ভাড়া দিয়ে দেওয়া উচিত।' যদিও তারপরই ওই ব্যক্তি স্পষ্ট করেছেন, তিনি নেহাতই মজা করে ওই কথা বলেছেন। অনেকে আবার মণীশের দেওয়া তথ্য সত্যি ধরে নিয়েই এইমস কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, কোনও প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ যদি পড়ুয়াদের জন্য এহেন ব্যবস্থা করতে পারে, তাহলে অনেক দরিদ্র অথচ মেধাবী পড়ুয়ার পক্ষে আর্থিক বাধা উপেক্ষা করে উচ্চশিক্ষা লাভ করা এবং জীবনে সফল হওয়া সম্ভবপর হয়।একজন আবার এ নিয়ে মশকরাও করেছেন। তিনি লিখেছেন, 'আমি ঠিক এমনই একটা ঘর বিনামূল্যে থাকার জন্য পেয়েছিলাম, যখন আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল!'আরও একজন আবার লিখেছেন, তিনি আশাবাদী যে পড়ুয়ারা এইমসে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন, তাঁরা সকলেই এই ভর্তুকির সুবিধা লাভ করছেন।