দলের কার্যালয়ে নাকি ইন্টারনেট স্লো ছিল। আর সেই অজুহাত তুলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সটা একেবারে বিডিওর চেম্বারেই সেরে নিয়েছিলেন বিধায়ক। ভগবান গোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলির সেই মিটিংয়ের ছবি সামনে আসতেই রাজ্য জুড়ে হইচই পড়ে যায়। এভাবে বিডিওর চেম্বারে বিধায়কের দলীয় মিটিং কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে তারপরেও বিধায়ক নির্বিকার।তবে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অবশ্য জানিয়েছিলেন, খোঁজ নিয়ে দেখা হবে ঘটনাটা কী হয়েছে। কিন্তু প্রশ্নটা ছিল এভাবে মিটিং করার জন্য বিধায়কের কী কোনও শাস্তি হবে? সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তবে সেই ছবি কে ছড়িয়ে দিল তা নিয়ে নয়া প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন খোদ বিধায়কই। দলেরই অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন তিনি। অর্থাৎ অনেকের প্রশ্ন তাহলে মিটিং করাটা অপরাধের নয়, অপরাধ হল ঘরের অনিয়মের সেই খবর কেন ছড়িয়ে দেওয়া হল বাইরে?ইদ্রিশ আলি সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন, মুক্তার হাসান বলে একজন আছে। সে নাকি মিডিয়ার সর্বময় কর্তা। আবার অঞ্চল সভাপতিও। সেই তো ছবিটা ভাইরাল করেছে। সে দল বিরোধী কাজ করেছে। দলের মিটিংয়ের বিষয়ে বাইরে বলাটা ঠিক নয়। সেই সঙ্গেই বিধায়কের দাবি ওই মুক্তার হাসান নানা ধরনের অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত।আবার মুক্তারের দাবি, ইদ্রিশ আলির ফেসবুক পেজে ওটা লাইভ হয়েছিল। তারপরে আমি পোস্ট করি। তিনি নিজেকে দলের সোশ্য়াল মিডিয়ার সক্রিয় কর্মী বলে উল্লেখ করেছেন।এদিকে দলের অন্য়ান্য নেতৃত্বও অবশ্য ইদ্রিশের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের মূল কথা ঘরের কথা বাইরে প্রকাশ করাটা ঠিক হয়নি। তবে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে, বিডিওর ঘরে দলের বৈঠক করার ছাড়পত্র কীভাবে পেলেন বিধায়ক? সেই অনিয়মকে স্বীকার না করে এখন কারা এই খবর বাইরে ছড়াল তা নিয়েই কাটাছেঁড়া হচ্ছে।বিরোধীদের দাবি, আসলে দুর্নীতি, অনিয়মের খবর যতক্ষণ ভেতরে থাকছে ততক্ষণ কোথাও কোনও হেলদোল নেই। কিন্তু যেমনি সেই খবর বাইরে বেরিয়ে পড়ছে তখনই দলের একাংশ নানা রকম চাপানউতোর শুরু করে দিচ্ছেন।এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup