স্বামী জীবিত থাকলেও বিধবা ভাতা পাচ্ছেন এক বৃদ্ধা। এমনই অভিযোগ উঠেছে নদিয়ার রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের বৈদ্যুপুরে। মিলনরানি পাল নামে ওই বৃদ্ধার দাবি, তিনি দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বার্ধক্য ভাতার আবেদন করেছিলেন। এই ঘটনার পিছনেও বিজেপির চক্রান্ত দেখছে তৃণমূল।৬০ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধা জানিয়েছেন, গত কয়েকবছর ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেতেন তিনি। তবে সম্প্রতি দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বার্ধক্য ভাতার আবেদন করেন তিনি। কয়েক মাস পর থেকে ভাতা পেতেও শুরু করেন। কিন্তু খতিয়ে দেখে তিনি বুঝতে পারছেন, বার্ধক্যভাতা নয় তিনি পাচ্ছেন বিধবা ভাতা। যদিও তাঁর স্বামী মানির পাল জীবিত।এই ঘটনায় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কৃষ্ণ রায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের কর্মীদের দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, কোনও ভাবে বার্ধক্য ভাতার আবেদন বিধবা ভাতার দফতরে চলে গিয়ে থাকতে পারেন। মহিলা ঠিকই আবেদন করেছিলেন। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের কর্মীদের ভুলে এই বিভ্রাট। মুহূর্তের মধ্যে নিজের অবস্থান থেকে ঘুরে গিয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, এসব বিজেপির কাজ। এর পিছনে বিজেপির চক্রান্ত রয়েছে।পালটা বিজেপির স্থানীয় এক নেতা বলেন, ‘তৃণমূল মানেই দুর্নীতি আর পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি। টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা। তাতে সধবা মহিলা বিধবা ভাতা পেলেও ওদের কোনও আপত্তি নেই।’