রাজ আমলের সংস্থা নর্থ বেঙ্গল স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন বা এনবিএসটিসি। এবার সেই সরকারি সংস্থাই তাদের একাধিক ভবন ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম এই ভবন ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপাতত ১৬টি ভবনকে তারা চিহ্নিত করেছে। সেগুলি ভাড়া দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, বিভিন্ন সরকারি দফতর, রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্য়াঙ্ককে এই ভবনগুলি ভাড়া দেবে এনবিএসটিসি।সূত্রের খবর, নিগমের আওতায় প্রায় ৬৪টি জমি রয়েছে। কিন্তু কোন জমির কতটা ব্যবহার করা হচ্ছে, কতটা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে, কতটা ব্য়বহার যোগ্য রয়েছে, কোন ক্ষেত্রে সংস্কার করা প্রয়োজন সবটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই অনুসারে সরকারের ওপরমহলে রিপোর্ট পাঠানো হবে। এনিয়ে সরকার কী সিদ্ধান্ত জানায় তার উপর নির্ভর করছে অনেকটাই।সূত্রের খবর, অন্তত ১৬টি ভবন বর্তমানে কার্যত অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কোচবিহার, শিলিগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, মালদা সহ বিভিন্ন জায়গায় নিগমের নিজস্ব জমি রয়েছে।তবে একাধিক ক্ষেত্রে তা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এগুলি থেকে নিগমের সেভাবে কোনও আয় হচ্ছে না। সেকারণেই এবার সেই জমি ভাড়া দিয়ে আয়ের রাস্তা খুঁজছে এনবিএসটিসি।সূত্রের খবর,কোচবিহারের ট্যাক্সি স্ট্যান্ড এলাকার ওল্ড অ্য়াকাউন্টস ভবন, কোচবিহারের সেন্ট্রাল টার্মিনাসের ছাদ ও নিউ বাস স্ট্যান্ডের দোতলার অংশটি,শিলিগুড়ির মাটিগাড়া ডিভিশনের ছাদ, মালদা ডিভিশনের ছাদ, শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসের একাংশ, রায়গঞ্জ ডিভিশনের ছাদ ভাড়া দেওয়ার জন্য় আপাতত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।কোচবিহারের রাজ আমল থেকেই পথচলা শুরু করেছিল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম। বর্তমানে সরকারি সহায়তায় এই সংস্থা চলে। এই সংস্থার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রাজ আমলের আবেগ। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি গোটা রাজ্য জুড়েই ও রাজ্যের বাইরের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম বড় মাধ্য়ম হল এই উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বাস। বিগতদিনে অত্য়ন্ত টানাটানির মধ্যে এই সংস্থা চলেছে। তবে ইদানিং এই সংস্থা মাঝেমধ্যে কিছুটা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। আর নিগমের নিজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য এবার অব্যবহৃত ভবনকে ভাড়া দেওয়ার উদ্যোগ নিল এনবিএসটিসি।এদিকে এনবিএসটিসির এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই নানা চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে তবে কি বেসরকারিকরণের দিকে যাচ্ছে এনবিএসটিসি? তবে সূত্রের খবর, কেবলমাত্র অব্যবহৃত জমি ও ভবনগুলিকে ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে বেসরকারিকরণের কোনও সম্পর্ক নেই।