দীর্ঘ সাড়ে চার মাস পর ফের একবার চালু হল টয় ট্রেন পরিষেবা। আজ নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সকাল ১০টায় টয় ট্রেনটি ছেড়ে যায় দার্জিলিঙের উদ্দেশে। বিকেল ৫টা নাগাদ ট্রেনটি পৌঁছানোর কথা গন্তব্যে। এর আগে বর্ষার আবহে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল টয় ট্রেন। আজ মোট ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি যাত্রা করে দার্জিলিঙের উদ্দেশে। যাত্রীদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান পর্যটকরাও ছিলেন। কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দর কুমার-সহ অন্যান্য আধিকারিক সবুজ পতাকা নেড়ে টয় ট্রেনের যাত্রার সূচনা করেন। (আরও পড়ুন: যাত্রীদের সুবিধার্থে এবার⛦ মেট্রোর সংখ্যা বাড়ানোর সি⭕দ্ধান্ত, জানুন বিশদে...)
আরও পড়ুন: একযুগ পর উত্তরবঙ্গের এই রুটে রেললাইন 🌃সম্প্🌳রসারণের কাজ শুরু, তবে এখনও রয়ছে জট
এর আগে বর্ষাকালে পাহাড়ের একাধিক জায়গায় ধস নামার জেরে টয়ট্রেনের রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে অতিবৃষ্টির জেরে সেই জায়গায় মেরামতির কাজও করা যাচ্ছিল না। এই আবহে গত জুলাই মাস থেকে বন্ধ ছিল এনজেপি-দার্জিলিঙের টয় ট্রেন পরিষেবা। পুজোর সময়ও টয় ট্রেন বন্ধ ছিল। তবে বর্ষা বিদায়ের পর রেললাইনের মেরামতি করা হয়। এই আবহে গত কয়েকদিনে পরীক্ষামূলক ভাবে টয় ট্রেন চালানো হয় বলে জানান কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার। আর আজ অবশেষে পাকাপাকি ভাবে ফের টয় ট্রেন পরিষেবা চালু করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: এবাꦯর সরকারি কর্মীদের ন্যূনত বেতন বেড়ে হবে ৫১,৪৫১? বড় দাবি খোদ JCM🐭 সচিবের)
আরও পড়ুন: টাকা মিলবে,কিন্তু… 🍷রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া DA নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত অর্থ দফতরের
এই বিষয়ে কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার বলেন, 'প্রকৃতির কাছে আমাদের সবাইকেই হার মানতে হয়। এর কারণেই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও টয় ট্রেন চালানো সম্ভব হয়নি এতদিন। এই বছরের অনেকটা সময় তাই পরিষেবা বন্ধ ছিল। তবে শীতের মরশুমের আগে পরিষেবা চালু করে দিতে পেরে আমরা খুশি। এই গত কয়েক মাস বন্ধ থাকা অবস্থায় রেললাইনের সংস্কার হয়েছে। তাই বর্তমানে কোনও আশঙ্কা নেই। এখন বৃষ্টির মরশুম না থাকায় পাহাড়ে ধসের সেরকম সম্ভাবনা নেই।' তিনি দাবি করেন, অন্যবারের তুলনায় এবারে বর্ষায় বেশি ক্ষতি হয়েছিল লাইনে। (আরও পড়ুন: চোখের পলকে খতম হবে শত্রু, হাইপরস🐷নিক মিসাইলের সফল টেস্টে নয়া পালক ভারতের ꧂মুকুটে!)
আরও পড়ুন: 𒊎হাওড়া ব্রিজে সেলফি তুলতে গিয়ে বাধা পেয়েছেন? জানেন কেন ওখানে ছবি তোলা নিষিদ্ধ?
এদিকে বিদেশি পর্যটক হেনা মারিয়া জানান, টয় ট্রেনে চড়তে পেরে তিনি খুবই খুশি। এরই সঙ্গে তিনি বলেন, 'এতদꦯিন দার্জিলিংয়ের টাইগার হিল সম্বন্ধে শুধু জানতাম। এবারে সেটা নিজে চোখে দেখতে এসেছি।' অপরদিকে গাজিয়াবাদের বাসিন্দা রিটা রানা বলেন, 'টয় ট্রেনের টিকিট বেশ কয়েক মাস আগেই কেটে রেখেছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত ট্রেনে চড়তে পারব কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা ছিল। মাঝেমধ্যেই শুনি পাহাড়ের রাস্তায় ধসের কারণে ট্রেন বন্ধ থাকে। বহুবার খবরে জেনেছি দুর্ঘটনার কথা। এর জেরেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।'