দুর্গাপুজোয় পুজোমণ্ডপে প্রবেশ নিষেধ। দর্শকশূন্য পুজোমণ্ডপ রাখতে হবে। পুজোমণ্ডপ ঘেরা থাকবে ব্যারিকেড দিয়ে। এটাই ছিল কলকাতা হাইকোর্টের রায়। তাই পুজোয় বাঙালি বিকল্প পথ খুঁজে নিল। তাই গরিবের গোয়া হিসাবে ভিড় আছড়ে পড়ল সৈকত শহরগুলিতে। আর মুহূর্তের মধ্যে শিকেয় উঠল স্বাস্থ্যবিধিও। দিঘা, মন্দারমণি, শংকরপুর, তাজপুর— সর্বত্র একই ছবি ধরা পড়ল। মণ্ডপে ঢোকার অনুমতি না পাওয়ায় সমুদ্র সৈকতে আনন্দে মেতে উঠলেন সকলে।কিন্তু এই বিকল্প পথেই দেখা গেল স্বাস্থ্যবিধি চুলোয় গিয়েছে। কারণ সমুদ্র সৈকত হোক কিংবা হোটেল— কোথাও সামাজিক দূরত্ব মানার বালাই নেই দিঘায়। ওল্ড দিঘা–নিউ দিঘার প্রতিটি স্নানের ঘাটেই প্রচুর পর্যটককে একসঙ্গে দেখা মেতে উঠতে দেখা গেল। অধিকাংশের মুখে মাস্কও নেই। পুলিশকেও এখানে কঠোর হতে দেখা যায়নি। সুতরাং করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে গেল।সরকারি নির্দেশিকা মেনে জুলাই মাসের গোড়াতেই দিঘার হোটেল-লজ খুলে গিয়েছিল। ধীরে ধীরে ভিড়ও হোটেল ব্যবসায়ীদের সূত্রে খবর, লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত বেশিরভাগ ঘরের বুকিং আগাম করা আছে। পর্যটকদের অভিযোগ, অনেক হোটেল–লজের ঘর নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে না। এমনকী দেহের তাপমাত্রাও নিয়মিত মাপা হচ্ছে না। রাস্তায় পুলিশ থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি ভাঙার জন্যে কাউকে কিছু সেভাবে বলতে দেখা যাচ্ছে না তাঁদের।