উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকস্তরের ফলাফল দেখে অনেকের মাথাতেই কার্যত আকাশ ভেঙে পড়েছে। সূত্রের খবর, চার বছরের স্নাতকস্তরের প্রথম সেমেস্টারে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা বহু কলেজে পড়ুয়াদের একেবারে শোচনীয় ফলাফল হয়েছে বলে খবর। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অধীনে সব মিলিয়ে ৪৯টি কলেজ রয়েছে। আর অধিকাংশ কলেজেই দেখা যাচ্ছে প্রথম সেমেস্টারে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী ফেল করেছে। উত্তরবঙ্গ সংবাদের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বিএ মেজর-এ ছাত্রদের ফেলের হার ৯৪ শতাংশেরও বেশি। আর অন্য়দিকে সব মিলিয়ে প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি ছাত্রী পাশ করতে পারেননি। এদিকে বিএসসি-বিকমের ক্ষেত্রে পাশের হার ৩২ শতাংশেরও কম। বৃহস্পতিবার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। তারপরই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অন্দরে। কেন এই ধরনের ফলাফল হল তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষন করছেন অনেকেই। তবে সূত্রের খবর, ওই পড়ুয়ারা পরবর্তী সেমেস্টারে পরীক্ষা দিতে পারবেন। নতুন শিক্ষানীতি অনুসারে পরীক্ষায় বসেছিলেন পডুয়ারা। কিন্তু সেখানে যে এমন বিপর্যয় নেমে আসবে তা হয়তো বুঝতে পারেননি অনেকেই। ওই সংবাদমাধ্য়মের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, নতুন শিক্ষানীতি প্রথম সেমেস্টারে সব মিলিয়ে বিএ মেজর-এ ১৩ হাজার ৬৪২জন ছাত্র পরীক্ষায় বসেছিলেন। সব মিলিয়ে ২২ হাজার ৯৩২জন ছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্য়ে মাত্র ৮১২জন ছাত্র পাশ করেছেন। অর্থাৎ শতাংশের হারে পাশ করেছেন ৫.৫৯ শতাংশ ছাত্র। আর অন্যদিকে ২৩১৯ জন ছাত্রী পাশ করেছেন। সেক্ষেত্রে পাশের হার মাত্র ১০.১১ শতাংশ। বিএসসি মেজর-এ ২০৩২ পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার মধ্য়ে পাশ করেছেন ৫৭০জন। কিন্তু কেন এমন হল? ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, কোভিড পরিস্থিতিতে বই দেখে পরীক্ষা দিতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। সেকারণে পড়াশাোনা না করলেও পরীক্ষায় পাশ করা যাবে, স্টেজে মেক আপ হয়ে যাবে এমনটাই ধারণা হয়ে গিয়েছিল অনেকের। কিন্তু এবার একেবারে পরীক্ষাকেন্দ্রে এসে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। তাতেই আসল ফলাফল ধরা পড়েছে। এমনকী একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে বহু ছাত্রছাত্রী অধিকাংশ উত্তর লেখেননি। সাদা খাতা জমা দিয়ে দিয়েছেন। তবে এভাবে ফলাফল হলে আগামী দিনে তাদের পরিণতি কী হবে তা নিয়ে শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও উদ্বিগ্ন। এদিকে শুক্রবার তুফানগঞ্জের কলেজে আবার সিলেবাসের বাইরে থেকে ২৪ নম্বররে প্রশ্ন এসেছে এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়া ও অভিভাবকদের একাংশ।