বক্সায় বাঘ আছে কি নেই সেটা নিয়ে তর্কের অন্ত নেই। কিন্তু একাধিকবার নানা জনের ক্যামেরায় বাঘের উপস্থিতির কথা টের পাওয়া গিয়েছে। এবার বনদফতরের ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়ল বিরল ইন্ডিয়ান ঢোল বা এশিয়াটিক ওয়াইল্ড ডগের ছবি। একসঙ্গে একাধিক বিরল প্রজাতির কুকুরকে জঙ্গলে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। এই ছ🌃বি সামনে আসার পরেই উল্লসিত বনদফতরের কর্তারা।
এই ছবি আসলে প্রমাণ করছে বক্সার জীব বৈচিত্র ও বক্সার বাস্তুতন্ত্রের বিষয়টি। ﷽এখন এই বিরল কুকুরদের সংরক্ষণ করে রাখাটাই বনদফতরের কাছে বিরাট চ্যালেঞ্জ। কারণ এই কুকুরগুলোর যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেটাই খতিয়ে দেখছে বনদফতর।
ঠিক কেমন ধরনের হয় এই কুকুরগুলো? সূত্রের খবর, এগুলি এশীয় বুনো কুকুর। মূলত খরগোশ, বুনো শুয়োর, হরিণকে শিকার করে এরা। এমনকী সুযোগ যদি পায় ও দলবদ্ধভাবে যদি হামলা চালায় তবে একটা বাইসনকেও এরা কাবু করতে সক্ষম। মারাত্মক হিংস্র প্রজাতির হয়। একবার যদি হামলা চালায় তবে বেঁচে ফিরে আসা অত্যন্ত কঠিন। অনেকটা শেয়ালের মতো দেখতে হয় এদের। কিন্তু কোনওভাবে মানুষ দেখতে পেলেই এরা গভীর জঙ্গলে চলে যায়। সেকারণে🐽 ক্যামেরায় এদের ধরা পড়া অত্যন্ত মুশকিল। তবে এবার বনদফতর বিভিন্ন জায়গায় ক্যামেরা বসিয়ে রেখেছে। সেখানেই এই ইন্ডিয়ান ঢোলদের দেখা গিয়েছে। বনদফতরের কাছে এটা অত্যন্ত খুশির খবর।
এদিকে পরিবেশপ্রেমীদের মতে এই ধরনের ইন্ড꧙িয়ান ঢোলদের সংরক্ষণ করাটা অত্যন্ত দরকার। না হলেই বাংলার বুক থেকে হারিয়ে যেতে পারে এই বিপন্ন কুকুরের দল।
এদিকে সূত্রের খবর বছর পাঁচেক আগে এক꧃ পর্যটকের ক্যামেরায় একবার এই ধরনের বুনো কুকুরের ছবি ধরা পড়েছিল। তবে তারপর থেকে এগুলির উপস্থিতি বিশেষ টের পাওয়া যেত না। তবে এবার বক্সার গভীর জঙ্গলে বোঝা গেল ইন্ডিয়ান ঢোলরা রয়েছে। সাধারণত পরিবার নিয়ে দলবদ্ধভাবে থাকতে এরা ভ🌃ালোবাসে। তেমনি একটি দলের ছবি ধরা পড়েছে। তবে সব মিলিয়ে কতগুলি এই ধরনের বন্য কুকুর রয়েছে তা এখনও বোঝা যায়নি।
আইএফএস 👍প্রবীন কাসোয়ান.(উপক্ষেত্র অধিকর্তা বক্সা পশ্চিম ডিভিশন) টুইট কর👍ে জানিয়েছেন, একেবারে হিংস্র প্রাণী। তাড়া করে ধরে ফেলে শিকারকে। তারপর শিকারের মরার জন্যও অপেক্ষা করে না। তার আগে খেতে শুরু করে। ইন্ডিয়ান ওয়াইল্ড ডগ ঢোল বলেও পরিচিত।