আগামীকাল জিটিএ–এর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। আর সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাহাড়ের মাটিতে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দে꧅খা করলেন জিটিএ–র ভাবী চেয়ারম্যান অনীত থাপার সঙ্গে। পাহাড়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনীতের সঙ্গে আলোচনা সেরে নেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী যে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন, তাকেই কুর্নিশ জানান জিটিএ–র ভাবী চেয়ারম্যান।
সোমবার তিনদিনের সফরে পাহাড়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে দুধ সাদা গাড়িতে কার্শিয়াঙের পথে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীকে এদিন স্বাগত জানানোর জন্য রাস্তার দুধারে অপেক্ষায় ছিল অগনিত মানুষ। চলার পথে তাঁদেরকে সৌজন্য দেখাতে ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্শিয়াঙে অনীত থাপার সঙ্গে দেখা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁকে নিজের গাড়িতে নিয়ে নেন তিনি। এরপর গাড়িতেই দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে অনীত থাপা জানান, ‘পাহাড়ে দীর্ঘদিন পর জিটিএ নির্বাচন হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে পাহাড়বাসী ধন্যবাদ জানাতে চ🎉ায়।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফরকে ঘিরে সাজꦏো সাজো রব ছিল। বিকেলে দার্জিলিঙে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। রোহিনী, সোনাদা, ঘুম সব জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে পোস্টার, ব্যানার লাগানো হয়। এবারে এই জিটিএ নির্বাচনে খাতা খুলেছে তৃণমূল। দার্জিলিঙে তৃণমূল নেতা বিন্নি শর্মা জানান, ‘দুহাত তুলে পাহাড়ের মানুষ দিদিকে স্বাগত জানিয়েছে। এবার মানুষের আর্শিবাদ পেয়ে এসেছেন।’ উল্লেখ্য, এই প্রথমবার জিটিএ নির্বাচনে ১০টি আসনে প্রার্থী দিয়ে পাঁচটি আসনে জিতেছে তৃণমূল। কাল জিটিএ–র নতুন চেয়ারম্যান হিসাবে শপথ নেওয়ার কথা ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার নেতা অনীত থাপার।