ঘটা করে বিয়ে দিয়েছিলেন ছেলের। তাতেই দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে গিয়েছিলেন ফুচকা বিক্রেতা। শেষ পর্যন্ত মানসিক🔯 অবসাদে বেছে নিলেন আত্মহত্যার পথ। এমন মর্মান্তিক এই ঘটন🍒াটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার ধুসরীপাড়া কলোনি এলাকায়। রবিবার সকালে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত প্রশ্ন করেন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: TMC কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধ꧃ার, সুইসাইড নোটে ꦑমিলল BJP কর্মীর নাম
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ফুচকা বিক্রেতার নাম চন্ডী হালদার (৫০)। বাড়ির পাশের একটি লিচু বাগানে তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পারিবারিক সূত্রের খবর, মাস চারেক আগে তিনি ধুমধাম করে ছেলের বিয়ে দিয়েছিলেন। তাতে কয়েক লඣক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। এর জন্য তিনি বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে ধার দেনাও করেছিলেন। সেই বাবদ কয়েক হাজার টাকা দেনা হয়ে যায় ফুচকা বিক্রেতার। কিন্তু সেই টাকা তিনি পরিশোধ করতে পারছিলেন না। যার ফলে পাওনাদারদের চাপ তার ওপর বাড়তেই থাকে। ক্রমশই দেনার চাপ বাড়তে থাকায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে নিত্য কলহ লেগেই থাকতো। এ নিয়ে পারিবারিক অশান্তি তার ওপর পাওনাদারদের চাপে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হඣয়ে পড়েছিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, রবিবার ভোর রাতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হ෴য়। এরপরে রেগে ফারাক্কায় মায়ের বাড়িতে চলে যান চন্ডীবাবুর স্ত্রী। শেষে বাড়ির পাশের একটি লিচু বাগানে গলায় ধুতি জড়িয়ে আত্মঘাতী হন ওই ফুচকা বিক্রেতা। এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হতেই দ্রুত গতিতে খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে সেখানে ভিড় জমে স্থানীয় বাসিন্দাদের। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পরে পুলিশে এসে চন্ডী বাবুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, দেনার দায়েই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ফুচকা বিক্রিয়া।
অন্যদিকে, দিন তিনেক আগেই মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বানিয়াপাড়া গ্রামে এক তেলে ভাজা বিক্রেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই তেলেভাজা বিক্রেতার নাম মানিক মণ্ডল। ঘটনা তিন দিন আগে তিনি বাড়ি থেকে দোকানে গিয়েছিলেন। এরপর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ তোলেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ কেউ বা কারা তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে🀅।