এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম নিরঞ্জন দাস। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে তারাপীঠের শ্মশানের রাস্তায়। জানা যাচ্ছে, তিনি স্ত্রীকে ফেরানোর জন্য তারাপীঠে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। এমনও যাচ্ছে তিনি নাকি স্ত্রীকে ফেরাতে তন্ত্রসাধনা করছিলেন। তার পরেই মৃতদেহ উদ্ধার হল সিভিক ভলেন্টিয়ারের। ঘটনায় পরিবারে তরফে খুনের অভিযোগ জানানো হয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, নিরঞ্জন এক বন্ধুর সঙ্গে তারাপীঠে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। কী🍰ভাবে মৃত্যু হল নিরঞ্জনের? তাই নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।
আরও পড়ুন: জমি বিবাদের জেরে ভয়ঙ্কর কাণ্ড, সিভিক ভলান্টিয়ারক💃ে পিটিয়ে খুন করলꦆ কাকা
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিভিক ভলেন্টিয়ার বীরভূমের নলহাটি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি নলহাটি রেলস্টেশনের জিআরপির সিভিক ভলেন্টিয়ার ছিলেন। গতকাল বাড়িতে জানিয়েছিলেন এক বন্ধুর সঙ্গে তারাপীঠঠে পুজো দিতে যাচ্ছেন। কিন্তু, তারপর আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। পরে পুলিশের কাছ থেকে নিরঞ্জনের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনার প🐷রেই খুনের অভিযোগ তুলেছেন নিরঞ্জনের পরিবারের সদস্যরা। তাদের বক্তব্য, বাড়ি থেকে যখন বেরিয়েছে তখন তিনি পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন। পুলিশ তাদের ফোন করে জানায় অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন নিরঞ্জন। কিন্তু, তারা গিয়ে দেখেন মৃত্যু হয়েছে নিরঞ্জনের। একজন সুস্থ মানুষ কীভাবে হঠাৎ করে মারা গেলেন তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে, নিরঞ্জনের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও তাঁর কপালে আঘাতের দাগ ছিল বলে দাবি পরিবারের।কপালের ডান দিকে একটি আঘাতের চিহ্ন আছে। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে পরিকল্🅠পনা করে খুন করা হয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, মনোমালিন্যের জেরে তাঁর স্ত্রী বাপের বাড়িতে আছেন। তাই তাঁকে ফেরানোর জন্য ওই সিভিক ভলান্টিয়ার তারাপীঠে তন্ত্রসাধনা করছিলেন। শনিবারও সেই কারণে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার।