কলকাতার একাধিক জায়গায় নতুন তৃণমূলের আগমন বার্তা দিয়ে পোস্টার পড়েছিল। এবার একই পোস্টার পড়ল মালদায়। পোস্টারে লেܫখা রয়েছে, ‘আগামী ছয় মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল। ঠিক সাধারণ মানুষ যেমনটা চায়।’ তাতে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নেই। শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি রয়েছে। এমনই পোস্টটা দেখা গেল মালদার চাঁচলে।
সেখানকার তৃণমূল বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষের অস্থায়ীভাবে বাসভবনেও এই পোস্টার দেখা গিয়েছে। এছাড়াও চাঁচল শহরের কুমার শিবপদ🌠 লাইব্রেরির গেটে এই পোস্টার দেখতে পাওয়🃏া গিয়েছে। এর আগে কলকাতায় যখন পোস্টার পড়েছিল তখন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের উল্টো দিকেও ছিল একই🦩 ধরনের পোস্টার। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক গুঞ্জন। তৃণমূলকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিরোধীরা।
চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের কংগ্রেসের সা𓂃ধারণ সম্পাদক কাজী আতাউর রহমান তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘এতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছে। দল যতই দুর্বল হচ্ছে ততই উপদল তৈরি হচ্ছে। এটি তৃণমূলের সর্বনাশের প্রভাত ফেরী।’ মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেনু বলেন, ‘রাজ্যে তৃণমূলের ভাঙন শুরু হয়েছে। চাঁচলে হল তার উদাহরণ।’ যদিও তৃণমূলের কেউ এই পোস্টার লাগায়নি বলেই দাবি করেছেন তৃণমূল বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘এটি বিরোধীদের চক্রান্ত আমি। পুলিশকে খোঁজ নিতে বলেছি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।’
প্রসঙ্গত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারের পরেই তৃণমূলের একাধিক নেতা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্🐎নীতির অভিযোগ উঠছে। ঠিক সেই সময় অভিষেকের ছবি দেওয়া পোস্টারে নতুন তৃণমূলের আগমন বার্তা দেওয়া হচ্ছে। তৃতীয়বার তৃণমূলের জয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সম্প্রতি দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে কী সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছে দল? নাকি এটি তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীকোন্দল? তাই নিয়ে শুরু🐟 হয়েছে জোর জল্পনা।