রাজ্যের দুই জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭,১০৪ টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ হতে চলেছে। সোমবার সেই প্রস্তাবে অনুমোদনဣ দিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রিসভা। তাতে যেমন নয়া পদ তৈরি করা হবে, তেমনই প্রায় ৪,০০০ শূন্যপদ পূরণ করা হবে।
সোমবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, উত্তর ২৪ পরগনা এবং মালদহে ৭,১০৪ টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য। পূরণ করা হবে ৩,৯২ও৫ টি শূন্যপদ। বাকি ৩,১৭৯ টি পদ তৈরি করা হবে। সেইসঙ꧟্গে দুর্নীতির অভিযোগে লাগাম টানতে তিনি জানিয়েছেন, উশূন্যপদ পূরণের জন্য শুধুমাত্র প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের বিবেচনা করবে রাজ্য।
এমনিতে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল ২০০৯ সাল থেকে। অবশেষে কিছুটা নিয়োগের পথ প্রশস্ত হওয়ায় রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে স্ব𓂃াগত জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। তবে একইসঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগনা ও মালদহ নয়, পুরো রাজ্যেই দ্রুত নিয়োগ করতে হবে। পূরণ করতে হবে শূন্যপদ। একটি মহলের দাবি, প্রায় ৩১,০০০ জন এমন প্রার্থী আছেন, যাঁরা ২০১৪ সালের টেটে পাশ করেছেন। সেইসঙ্গে দু'বছরের ডিএলএড প্রশিক্ষণ আছে। তাঁদের নিয়োগ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত ৫০ শতাংশের কিছুটা বেশি পদে নিয়োগ করা হয়েছে। বাকি শূন্যপদও দ্রুত পূরণের দাবি তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ১০,৫০০ প্রাথমিক শিক্ষককেও পুজোর আগেই নেওয়া হবে। পুজোর আগেই তাঁরা চাকরি পাবেন। আগামী বছর মার্চের মধ্যে প্রাথমিক স্কুলে আরও ৭,৫০০ শিক্ꦑষক চাকরি পাবেন। সেইসঙ্গে কড়🏅া বার্তা দিয়েছিলেন যে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও লবিবাজি চলবে না। তিনি বলেছিলেন, ‘তাঁদের (শিক্ষকদের) মেধাই, তাঁদের পরিচয়। এ নিয়ে কারও কাছে লবি করার কোনও প্রয়োজন নেই। তাঁদের মেধাই তাঁদের সবথেকে পরিচয়। যাঁরা পরীক্ষা দিয়েছেন, পরীক্ষায় পাশ করেছেন, পাওয়ার অধিকারী, কোর্টে কেস চলছিল বলে এতদিন আটকে ছিল।’