যা ছিল গেরুয়া তা হয়ে গেল নীল–সাদা। এমনই ঘটনা ঘটেছে রায়গঞ্জ এলাকায়। আর তাতে প্রবল অস্বস্তি তৈরি হল বিজেপির। সেখানে অক্সিজেন পেল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী তৃণমূল কংগ্রেসে ♋যোগ দিয়েছেন। তাতে খানিকটা চাপ বে💛ড়েছে বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের। এবার রায়গঞ্জের সুপার মার্কেট এলাকার ওই কার্যালয়ের নীল–সাদায় বদলে দিলেন তাঁর অনুগামীরা। এতেই প্রবল অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে রায়গঞ্জে? এখানে দেখা গিয়েছে, কৃষ্ণ কল্যাণীর ওই অফিসের রঙ গেরুয়া থেকে নীল সাদায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। যেখানে একসময় নরেন্দ্র মোদী–অমিত শাহের ছবি ছিল সেখানে স্থান পেয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। অꦰবশ্য তার পরেই জায়গা পেয়েছে কৃষ্ণ কল্যাণীর ছবি। ঘাসফুল প্রতীকের স্টিকারে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে কার্যালয়টি।
সকালে অনেকেই এই পরিবর্তন দেখে 🎉হকচকিয়ে গিয়েছেন। বিজেপি সূত্রে খবর, কৃষ্ণ কল্যাণী তৃণমূল কংগ্রেসে চলে যেতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তাঁর নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। পাল্টা কৃষ্ণও এই রঙ পরিবর্তন করেছেন। দল ꧟পরিবর্তন করলে রঙ্ তো পরিবর্তন করতেই হবে। সেটাই করেছেন বিজেপির টিকিটে জেতা রায়গঞ্জের বিধায়ক।
সূত্রের খবর, আজ, শুক্রবার বিকেলে রায়গঞ্জে ফিরবেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তাই তাঁকে স্বাগত জানাতে মোটরবাইক মিছিল করা হবে। এই মিছিলের সময় তিনি একটি গাড়িত🌸ে থাকবেন। তারপর জেলার তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন। সেখানে তৈরি হবে নানা স্ট্র্যাটেজি। এখানে একটি মিছিলও করবেন তিনি।
এই গোটা বিষয়টি নিয়ে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টিকারী ও উন্নয়ন বিরোধী দল বিজেপির নেতা–নেত্রীদের ♋কথার গুরুত্ব দিচ্ছি না আমি। আমি বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর কেন্দ্রের কাছে নিরাপত্তার﷽ক্ষী চাইনি। ওদের কোনও সাহায্য আমার লাগবে না।’ বিজেপি অবশ্য আগেই বলেছে, কৃষ্ণর চলে যাওয়ায় দলে কোনও প্রভাব পড়বে না। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কি হয়।