রেশন বণ্টন দুর্নীতি সম্পর্কে তাঁর কিছুই জানা ছিল না। এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। শনিবার সকালে মধ্যমগ্রাম চৌমাথা থেকে স্টেশন পর্যন্ত প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির প্রতিবাদে মিছিলে নেতৃত্ব দেন তিনি। তাঁর দাবি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি থেকে নজর ঘোরাতেই এই গ্রেফতারি।এদিন মিছিলে হাঁটতে হাঁটতেই রথীনবাবু বলেন, আমি দায়িত্বে আসার পর পর রেশন বণ্টনে অনেক আধুনীকিকরণ হয়েছে। এখন বায়োমেট্রিক ছাড়া আর রেশন তোলা যায় না। ক্ষমতার হস্তান্তর হলেও আমার কাছে এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ আসেনি। এছাড়া চালকলের তালিকা তৈরি করে জেলায় জেলায় তৈরি কমিটি। তাঁর দাবি, এটা চক্রান্ত ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার বকেয়া টাকা আদায়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তা থেকে মানুষের চোখ ঘোরাতেই এই গ্রেফতারি বলে মনে হয়। বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে আমাদের লোকেদের হেনস্থা করছে। তার প্রতিবাদেই এই মিছিল।রথীনবাবু তাঁর জমানায় রেশন বণ্টনে প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে বলে দাবি করলেও তথ্য বলছে অন্য কথা। গোটা দেশে রেশন বণ্টনে সাম্য আনতে ও দুর্নীতি রুখতে ২০২১ সালে এক দেশ এক রেশন ব্যবস্থা চালু করে মোদী সরকার। কেন্দ্রের এই প্রকল্প অনুসারে ভারতের যে কোনও নাগরিক দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে আঙুলের ছাপ দিয়ে রেশন তুলতে পারবেন। রেশন কার্ড স্থানান্তর নিয়ে তাঁকে হ্যাঁপা পোহাতে হবে না। আর এতে সত্যিই সেই ব্যক্তি রেশন পেলেন কি না তা জানতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেখানে আদালতের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ে তারা। এর পর কার্যত তেতো ওষুধ গেলার মতো করে এই প্রকল্প চালু করে রাজ্য সরকার। নতুন পদ্ধতি চালু হতেই রাজ্যে বাতিল হয়ে যায় ১ কোটি ১৩ লক্ষ রেশন কার্ড।