শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে অষ্টম দফার দুয়ারে সরকার। প্রথম দিনেই দুয়ারে সরকারের শিবিরগুলিতে প্রচুর মানুষের ভিড় হয়েছে। সꦅবমিলিয়ে প্রথম দিন বিভিন্ন জেলার শিবিরগুলিতে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ এসেছিলেন। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি বহু মানুষ ৩৬টি প্রকল্পের সুবিধার জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রকল্প🎶।
আরও পড়ুন: এব🐼ারের দুয়ারে সরকারে থাকছে ২ লক্ষ শিবির, করা যাবে শস্য চাষে সহায়তার আবেদন
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের দুয়ারে সরকারকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ করা হবে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে পরিষেবা প্রদান করা হবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন জমা নেওয়া হবে এবং ২ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পরিষেবা দেওয়া হবে। এবারের দুয়ারে সরকারে প্রায় ২ লক্ষ শিবিরের আয়োজন করা হবে। যার মধ্যে প্রথম দিন বিভিন্ন জেলায় ৯ হাজার ৯৪টি শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। আবেদনপত্র পরীক্ষার পর ২ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত যে পরিষেবা প্রদান করা হবে, তার জন্য মোট ১৫ হাজার ৪৫১ টি শিবিরের আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ এই দু𒁃টি পর্যায়ে দেড় মাস পর্যন্ত চলবে দুয়ারে সরকার।
জেলাগুলির মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রথম দিনে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধার জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন। কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার ১ এবং বিষ্ণুপুরের ক্যাম্পগুলিতে উপচে পড়া ভিড় ছিল। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মোট ১ হাজার ১০৭টি শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। এর মধ্যে স্থায়ী শিবির ছিল ৬৬৬টি এবং মোবাইল ক্যাম🌟্প ছিল ৪৪১টি। প্রত্যন্ত এলাকায় শিবিরের সংখ্যা ছিল ১৭৭টি।
অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ৪২৫টি শিবির হয়েছে। এর মধ্যে স্থায়ী শিবিরের সংখ্যা ছিল ১০৪টি এবং ৩২১ ✃টি ভ্রাম্যমাণ শিবির ছিল। পূর্ব মেদিনীপুরে প্রথম দিনে ৩৮ হাজার ৬৬৭ জন আবেদন জমা দিয়েছেন। যার মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনার প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে। যে জেলায় থাকেন শুভেন্দু অধিকারী। এই প্রকল্পে ৩১ হাজার ৭৪২টি আবেদন জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদন জমা পড়েছে ১৬৮৭টি এবং ৯৫২টি স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে। এছাড়া, ৭৭৩টಞি আবেদন বয়স্ক ভাতার জন্য জমা পড়েছে। তাছাড়া খাদ্যসাথী প্রকল্পে ৭৩০টি আবেদন জমা পড়েছে।