শনিবার ভরদুপুরে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে হাওড়ার জগাছা থানার পঞ্চাননতলা এলাকার একটি স্বর্ণ ঋণ প্রদানকারী সংস্থায়। আর এদিন বিকেলেই লুঠ হওয়া সোনার হদিশ মিলল পূর্ব বর্ধমানে। তবে ৪–৫ জনের ওই ডাকাত দলের কাউকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের নবাবহাটে এদিন ডাকাতিতে ব্যবহার করা গাড়ি রেখে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তবে গাড়ি থেকে ব্যাগ–ভর্তি সোনা উদ্ধার করেছে পুলিশ।ডাকাতির পরপরই যৌথভাবে ঘটনার তদন্তে নামে জগাছা থানার পুলিশ ও হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা। হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের তরফে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ গোটা জেলা জুড়ে শুরু করে নাকা তল্লাশি। এদিন বিকেলে নবাবহাট এলাকায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর নাকা চেকিং চালানোর সময় দূরে একটি সাদা রঙের সুইফট ডিজায়র গাড়ি দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। কাছে গিয়ে পুলিশ দেখে, গাড়িটি ফাঁকা। চালক, আরোহী কেউ নেই। তবে গাড়ির ভেতরে ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে। তাতে কিছু সোনার অলঙ্কার রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।কিন্তু ওই দুষ্কৃতীরা গেল কোথায়? পুলিশের অনুমান, নাকা চেকিং চলছে দেখেই গাড়ি ফেলে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তাদের খোঁজে গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলায় তল্লাশি চলছে। টোল প্লাজা–সহ ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ওই এলাকায় থাকা বিভিন্ন সিসি টিভি–র ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুকল্যাণ সিংহরায় জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা ওই গাড়িতে চেপেই পালানোর চেষ্টা করছিল। দুর্গাপুর, আসানসোলের দিকে যাচ্ছিল গাড়িটি। এদিকে, জগাছার ওই ঋণ প্রদানকারী দক্ষিণ ভারতীয় সংস্থার অভিযোগ, এদিন ভয় দেখিয়ে ভল্ট খুলিয়ে ২০ থেকে ২৫ কেজি সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় ওই ডাকাত দল। দুষ্কৃতীদের মুখে ছিল মাস্ক।