ইউক্রেন পরিস্থিতি♏ ক্রমশ জটিল হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন সেখানে আটকে থাকা পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীরা। ঘুম ছুটেছে তাঁদের পরিবারের।
বাঙ্কারে বসে আছেন কলকাতার দেবার🐷তি দাস। খারকিভ ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ছাত্রী দেবারতি এখনও দেশে ফিরতে পারেননি। ভিডিয়ো কলে বাবা-মা'কে তিনি জানিয়েছেন, লড়াই শুরু হওয়ার পর তাঁদের হস্টেল থেকে বাঙ্কারে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সেখানেই দিন কাটছে তাঁদের। লাগাতার বিস্ফোরণ আর গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে বাইরে। খাওয়ার জল, শুকনো খাবার ক্রমশ কমে আসছে। কিন্তু কোনওভাবেই বাঙ্কারের বাইরে বেরনোর সাহস পাচ্ছেন না তাঁরা।
দেবারতি একা নন। ইউক্রেনে এভাবেই এখনও আটকে আছেন পশ্চিমবঙ্গের একাধিক ছাত্রছাত্রী। তেমনই অপর ডাক্তারির ছাত্রী তিয়াসা বিশ্বাস। বারাসতের তিয়াসা পড়েন ইউক্রেনের লভিভ ন্যাশনাল মেড💃িক্যাল কলেজে। তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল যে কার্যত নাওয়া-খাওয়া ভুলে মেয়ের ফোনের অপেক্ষায় বসে আছেন বাবা-মা। তিয়াসাকে সবসময় ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না꧑। তবে তিয়াসা জানিয়েছেন, ভারতীয় রেসকিউ মিশনের ফ্লাইট ধরার চেষ্টা করছেন তিনি।
ইউক্রেনের আকাশপথ বন্ধ করে রেখেছে সে দেশের সরকার। ফলে ভারতীয় বিমান রোমানিয়ায় গিয়ে নামছে। ছাত্রছাত্রীদের সীমান্ত পার করে রোমানিয়া যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ মেনে টারনোপিল মেডিকেল কলেজে ছাত্র পুষ্পক স্বর্ণকার সীমান্ত পর্যন্ত গিয়েছিলেন। বাড়িতে তিনি জানিয়েছেন, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সীমান্তে পৌঁছেছিলেন তিনি। কিন্তু সীমান্ত বন্ধ থাকার 🤡কারণে রোমানিয়ায় পৌঁছাতে পারেননি তিনি। এখনও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সীমান্তে অপেক্ষা করছেন পুষ্পক।
এমন আরও হাজার হাজার ভারতীয় ছাত্রছাত্রী আটকে আছেন ইউক্রেনে। অনেকেরই অভিযোগ, ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের কর্মকর্তাদের স🎀ঙ্গে তাঁরা যোগাযোগই করতে পারছেন না। এর আগে ভারতীয় প্রশাসন জানিয়েছিল, সমস্ত ছাত্রছাত্রী যেন কিয়েভে চলে আসার চেষ্টা করেন। মঙ্গলবার দুপুরে ফের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সকলে যেন কিয়েভ ছেড়ে চলে যান।
শুধু তা-ই নয়, ছাত্রছাত্রীদ⭕ের উদ্ধারের জন্য এবার ভারতীয় বিমানবাহিনীকে পাঠানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার। এতদিন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান পাঠিয়ে উদ্ধারের ♛চেষ্টা চলছিল। মঙ্গলবার দুপুরে বিমানবাহিনীকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হযꦚ়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)