সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনের হারের জেরে বুধবারই দলের ব্লক সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তাঁর জায়গায় নতুন ব্লক সভাপতি করা হয়েছে মুস🐓লিম মুখ শামসুল হুদাকে। কিন্তু তার পরও থামছে না বিতর্ক। পঞ্চায়েতে দুর্নীতির ফলেই যে তৃণমূলের এই হার তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন নবনিযুক্ত সভাপতি।
এদিন দায়িত্ব পেয়ে শামসুল হুদা বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর পাপের প্র🥂ায়শ্চিত্ত করলাম। সুব্রত সাহাও কম দায়ী নন। কোথাও একটা বুথ কমিটি নেই। সংগঠন নেই। সঙ্গে পঞ্চায়েতে এক শ্রেণির মানুষের দুর্নীতি’। শামসুল হুদার এই বক্তব্যে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সাগরদিঘি নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর ‘টাকার খেলা’র তত্ত্ব খারিজ করে দিলেন তিনি?
সাগরদিঘি নির্বাচনে হারের পর তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নানা ভাবে বিরোধী জোটকে আক্রমণ করেছিলেন। কখনো বলেছেন, সাগরদিঘিতে অনৈতিক জোট হয়েছে। কখনও আবার তাঁর দাবি, ‘টাকা দিয়ে লোক কেনা। সব আমি জানি। টাকাটা কে দিয়েছে।’ তবে দুর্নীতিও যে সাগরদিঘিতে হারের অন্যতম কারণ সেকথা কখনও শোনা যায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। প্রশ্ন হল, সাগরদিঘির হারের মুখ্যমন্ত্রীর এই ব্𝓀যাখ্যা কি তবে প্রত্যাখ্যান করছেন শামসুল হুদা সাহেব? তিনি কি মনে করছেন দলের অন্দরে💟 ঘুনের মতো বাসা বাঁধা দুর্নীতিই সাগরদিঘিতে ডুবিয়েছে তৃণমূলের জাহাজ।