এবার বিশাল বড় মাপের ইস্পাত কারখান💟া গড়ে তুলতে চলেছে সেইল। ৩০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হতে চলেছে🎃 বাংলায়। এই বিরাট কারখানায় বছরে ৪.০৮ মিলিয়ন টন ইস্পাত উৎপাদন হবে। তেমন ক্ষমতাসম্পন্ন কারখানাই গড়ে তুলছে সেইল। বার্নপুরে ইস্কো কারখানার পাশেই নতুন ইউনিট গড়ে তুলতে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।। সেইলের অধীনস্থ ইস্কো কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা বছরে ২.৫ মিলিয়ন টন। সেটা এবার বাড়িয়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নতুন কারখানা গড়ে উঠলে কর্মসংস্থানও বাড়বে।
সেইল সূত্রে খবর, এই প্রকল্পের প্র𝓀ি–ফিজিবিলিটি রিপোর্ট জমা হয়েছে। এমনকী তাতে সেইলের বোর্ড প্রিন্সিপাল ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে। অগস্ট মাসেই ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট জমা পড়েছে বোর্ডের কাছে। ৯৬ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। অত্যাধুনিক এই কারখানা পরিবেশবান্ধব হবে। কার্বন নির্গমন কমিয়ে গ্রিন স্টিল উৎপাদনের উপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। সেইলের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর (লজিস্টিক ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার) সুভাষ দাস বলেন, ‘৪.০৮মিলিয়ন টন ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন স্টিল প্ল্যান্ট গড়ে উঠবে। পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গ꧂ে কাজ চলছে। ২০২৩ সালের শেষেই নতুন কারখানা গড়ার টেন্ডার ডাকা হবে।’
এদিকে ইস্কোর হাত ধরেই আসানসোলে শিল্পের বিকাশ এবং খনি অঞ্চল আরও সমৃদ্ধ হয়। এখন বহু কারখানাই আসানসোলে বন্ধ। তাই কর্মসং﷽স্থানও হচ্ছে না। তাই এই বিরাট মাপের ইস্পাত কারখানা গড়ে উঠলে এবং বিনিয়োগ বড় হলে কর্মসংস্থান বাড়বে বলেই আশাবাদী সকলে। বলা যেতে পারে, এই কারখানা গড়ে উঠলে নতুন আশার আলো দেখবেন স্থানীয় শিক্ষিত ছেলে–মেয়েরা। বৃহৎ শিল্প গড়ে উঠলেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পেরও বিকাশ ঘটে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। সব ধরনের ব্যবসা বাড়তে থাকবে।
আরও পড়ুন: দলের পদও ছাড়লেন বিজেপি বিধায়ক দুর্গা মুর্মু, শিলিগুড়িতে ভাঙন ౠধরেই চলেছে
ঠিক কে, কী বলছে? অন্যদিকে আইএনটিইউসি অনুমোদিত আসানসোল আয়রন অ্যান্ড স্টিল ওয়ার্কার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হরজিৎ সিং বলেন, ‘এমন বিরাট কারখানা হলে এলাকার সামাজিক–অর্থনৈতিক ছবিটাই পাল্টে যাবে। আসানসোল শিল্পাঞ্চলে আবার শিল্পের জোয়ার আসবে।’ সিটু অনুমোদি൩ত এবিকে মেটাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক শুভঙ্কর দাশগুপ্তের কথায়, ‘নতুন কারখানা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষ বৈঠক করেছে। আমরা নতুন বিনিয়োগকে স্বাগত জানাচ্ছি।’