বন্দুক দেখিয়ে বিরোধীদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করানোর অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এবার বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বন্দুক দেখিয়ে জমি দখলের অভিযোগ করলেন স্থানীয়রা। শনিবার বলাগড়সহ হুগলিতে শান্তনুর একাধিক ঠিকানায় হানা দেয় ইডি। তল্লাশি চলে শান্তনুর বলাগড়ের রিসর্টেও। স্থানীয় ২ ব্যক্তির দাবি, ওই জমি মাথায় বন্দুক ধরে বিক্রি করতে বাধ্য করেছিল শান্তনুর পোষা গুন্ডারা।শান্তনুর রিসর্টে তল্লাশিশনিবার সকালে হুগলিতে শান্তনুর একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি শুরু করেন ইডির গোয়েন্দারা। বলাগড়ে গঙ্গার পাড়ে শান্তুর রিসর্টে তালা ভেঙে ঢোকেন ইডির গোয়েন্দারা। এর পর একের পর এক তালা ভেঙে চলতে থাকে তল্লাশি। ইডির গোয়েন্দাদের দেখে রিসর্টের সামনে ভিড় করেন স্থানীয়রা। তাঁদের মধ্যে ২ জন দাবি করেন এই জমি তাঁদের থেকে জোর করে দখল করেছেন শান্তনু।বন্দুক দেখিয়ে জমি লুঠের অভিযোগজমি হারানো এক ব্যক্তি দাবি করেন, বছর খানের আগে জমি বিক্রির জন্য শান্তনু আমাকে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু আমি জমি বিক্রি করতে রাজি ছিলাম না। জমি বিক্রির জন্য আমাকে চাপ দিতে থাকে শান্তনুর পোষা গুন্ডারা। আমাকে বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। চাপের মুখে জলের দড়ে আড়াই বিঘা জমি বিক্রি করতে বাধ্য হই।জমি বিক্রি না করায় বাড়ি ভাঙচুরআরেকজন বলেন, শান্তনুর পোষা গুন্ডারা আমাকেও জমি বিক্রির জন্য চাপ দেয়। আমি রাজি না হওয়ায় বাড়ি ভাঙচুর করে। শেষে কার্যত প্রাণ বাঁচাতে জমি বিক্রি করি। শুধু তাই নয়, রিসর্টের উল্টো দিকে একটি জমিও শান্তনু গায়ের জোরে দখল করেছেন বলে অভিযোগ।সরানো হয়েছে তথ্যপ্রমাণ?জমিহারা এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, শান্তনুর গ্রেফতারি পর দিন রিসর্টের কেয়ার টেকার চলে যান। তার কয়েকদিন পর মোটরসাইকেলে করে রিসর্টে আসে ২ যুবক। তাদের পিঠে ছিল কালো ব্যাগ। তালা খুলে রিসর্টে ঢোকে তারা। আধ ঘণ্টা পর বেশ কিছু জিনিস ব্যাগে ভরে রিসর্ট ছেড়ে বেরিয়ে যায় তারা।বন্দুক দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানোর অভিযোগনিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বন্দুক দেখিয়ে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের অভিযোগ তুলেছিলেন গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে হুগলি জেলা পরিষদে সিপিএম ও বিজেপির হয়ে মনোনয়ন পেশ করা ২ ব্যক্তি। এমনকী বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তোলেন তাঁদের একজন। বিরোধী প্রার্থীর নাম প্রস্তাবকের বাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।শান্তনুর গ্রেফতারিতে উপকার হবে তৃণমূলেরবলাগড় ব্লক তৃণমূল সভাপতির দাবি, শান্তনুর জন্য এলাকায় রাজনীতি করতে পারতাম না। এলাকায় যুব তৃণমূলের বাড়বাড়ন্তে তৃণমূল বলে আর কিছু ছিল না। গত পঞ্চায়েত ভোটে ওর কৃতকর্মের জন্য লোকসভা ভোটে আমরা এই এলাকা হেরেছি। ও জেলে গেছে বলে পঞ্চায়েত ভোটে এখানে আমাদের ফল ভালো হবে।