ক্রমেই অপেক্ষার দিন পার হচ্ছে। সিকিমগামী ভ্রনণপিপাসুদের আজও উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত ট্রেনে বা বিমানে গিয়ে সেখান থেকে সড়কপথে যাত্রা করতে হয়। তবে শীঘ্রই সরাসরি ট্রেনে করেই সিকিম পৌঁছে যাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, সেবক-রংপো রেলপথের ১১ নম্বর টানেলের কাজ শেষ হয়। এই টানেলটি ৩.২ কিলোমিটার লম্বা। টানেলটি বানাতে আড়াই বছর সময় লেগেছে। কালিম্পং জেলায় অবস্থিত এই টানেলের উদ্বোধন হয় গত সোমবার। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম ডিকে সিং সহ জেলাশাসক আর বিমলা সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এই রুটের মোট ছ’টি টানেলের উদ্বোধন হয়েছে এখনও পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে আশা করা হচ্ছে, আগামী বছর থেকে এই রেলপথে চালু হয়ে যেতে পারে ট্রেন পরিষেবা। অবশ্য, এখনও আটটি টানেলের কাজ সম্পন্ন হওয়া বাকি। (আরও পড়ুন: বাতিল বনগাঁ লোকালꩵ, হাওড়া ও শিয়ালদা শাখায় ছুটবে না আর♈ও বহু ট্রেন, দেখুন তালিকা)
এই রুট ধরে সেবক থেকে সিকিম পর্যন্ত এবার যাওয়া যাবে। রেল সূত্রে খবর, গোটা রেলপথের বেশিরভাগ অংশেই পাহাড় রয়েছে। সেই পাহাড় কেটে সুরঙ🅰্গ তৈরি করে তার ভেতর দিয়ে রেললাইন পাতা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকা হয়ে এই রেলপথ চলে যাবে সিকিম। ৪৪.৯৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেবকে-রাংপো রেলপথের কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে। তখন রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ🎃্যোপাধ্যায়। এরপর দীর্ঘ একযুগ পার হয়ে গিয়েছে। তবে শীঘ্রই সেই অপেক্ষার অবসান ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গে ডিআরএম ডি কে সিং বলেন, ‘আশা করছি, ২০২৪-র মার্চের মধ্যে পুরো কাজ শেষ হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: নেতাজিকে 'সন্ত্রাসবাদী' সম্বোধন গুজরাটের বিজেপি বি🏅ধায়কের, পরে দিলেন কোন সাফাই?
প্রকল্পটি ২০১৫ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে সেই মেয়াদ পেরিয়ে আট বছর অতিক্রান্ত। এদিকে যে রেললাইনটি পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমক🅘ে যুক্ত করবে, তার নির্মাণে ১,৩৩৯.৪৮ কোটি টাকা ব্যয় করার কথা ছিল। কিন্তু নির্মাণে বিলম্বের কারণে, খরচ বেড়ে পাঁচ হাজার কোটির গণ্ডি ছাড়িয়েছে। রেললাইনের ৪১.৫৪ কিলোমিটার পথ পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় পড়ে। রেললাইনের প্রায় ৩🌄.৪৪ কিলোমিটারের অবশিষ্ট অংশ সিকিমের মধ্য দিয়ে যাবে। প্রকল্পের মধ্যে মোট ১৪টি টানেল, ১৭টি সেতু এবং পাঁচটি স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে কালিম্পং জেলার তিস্তায় একটি ভূগর্ভস্থ টানেলও রয়েছে। কমপক্ষে ৮৬ শতাংশ রেলপথ ১৪টি টানেলের মধ্য দিয়ে যাবে যার মধ্যে ১৩টি টানেলই পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে। এই সবকটি টানেলের মধ্যে ১১ নম্বর টানেলটি দীর্ঘতম।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup