বন্যায় বিধ্বস্ত পরিস্থিতি কাটিয়ে এখন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে সিকিম। স্কুল–কলেজ দু’দিন হল খুলে গিয়েছে। এবার সেবক–সিকিম রোডও খুলে যাচ্ছে। দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে এটাই এখন বড় খবর। আগামীকাল পঞ্চমী তিথিতে খুলে যাচ্ছে উত্তরের এই লাইফলাইন পথ। আর তাই দুর্গাপুজোর সময় পর্যটকদের জন্য বড় সুখবর। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বন্যায় সিকিম বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল। এত তাড়াতাড়ি গোটা ব্যাপারটা সামলে উঠবে সিকিম তা অনেকে ভাবতেই পারেনি। দুর্গাপুজোতে অনেকেই ছুটি কাটাতে সিকিম বেড়াতে যান। এই পথ খুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে পূর্ত দফতরের ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। বাংলা–সিকিম♒ের লাইফলাইন এই হাইওয়ে। দক্ষিণ লোনক লেক বিপর্যয়ে তা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
এদিকে পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সংস্কারের কাজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। তার পর সেবক–সিকিম রোড খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলি সারানো হয়েছে। তাই এখন আর সিকিম যেতে কোনও সমস্যা হবে না। এই খবরে খুশি💯 বাংলার পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়। তিনি বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব এই সড়ক মেরামত করে সাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুততার সঙ্গে সে কাজ হয়েছে। এতে উপকৃত হবে প্রতিবেশী সিকিম। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত ইঞ্জিনিয়ার এবং অফিসারদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।’ সিকিমের হ্রদ বিপর্যয়ের জেরে কালিম্পংয়ের লিকুইভির, ২৯ মাইল এবং গেইলখোলায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন অংশ বন্যার জলে তলিয়ে গিয়েছিল।
অন্যদিকে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর থেকেই রাস্তাটি বন্ধ ছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, তিস্তার জলস্তর বিপদসীমার কাছাকাছি থাকায় শুরুর দিকে মেরামত করা𒉰র কাজ ব্যাহত হয়েছিল। কিন্তু কাজ চালিয়ে যান ইঞ্জিনিয়াররা। বেশ কয়েকটি জায়গায় পাহাড় কেটে রাস্তা সম্প্রসারণ পর্যন্ত করা হয়েছে। আবার একাধিক জায়গায় বালির বস্তা, পাথর এবং সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে গার্ডওয়াল। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট রাস্তা দিয়ে চালু করা হবে যান চলাচল। তবে আপাতত কোনও ভারী গাড়ি চলবে না। এই অভূতপূর্ব সাফল্যে পর্যটকদের মনে খুশির জোয়ার বইছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর উপাচার্য সম্প🌞র্কে কড়া পর্যবেক্ষণ বিচারপতিꦏ গঙ্গোপাধ্যায়ের, সরছেন কি বিদ্যুৎ?
আর কী জানা যাচ্ཧছে? মেরামতের সব কাজ শেষ করে একাধিকবার পরীক্ষা করা হয়েছে। দেখে নেওয়া হয়েছে যে, বিপদের কোনও ঝুঁকি আছে কিনা। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগামীকাল বৃহস্পতিবারই এই হাইওয়ে পর্যটকের জন্য খুলে দেওয়া হ🌠বে। ইতিমধ্যেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর প্রায় ৫০ শতাংশ বুকিং বাতিল হয়ে গিয়েছে। ট্যুর অপারেটরদের দাবি, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর অনেকে বুকিং বাতিল করেছেন। এখন এনএইচ–১০ চালুর খবর শুনে আবার অনেকে ফোল করতে শুরু করেছেন। বুকিংয়ের কথা বলছেন। খোঁজ করছেন রুমের। এটা একটা সদর্থক দিক।