মামলা পাঁচটি। তাও আবার বিশ্🌃বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিরুদ্ধে। এই পাঁচটি মামলার প্রেক্ষিতে আগামী ২০ এবং ২২ নভেম্বর বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে জেরা করবে পুলিশ। তাই আটঘাট বেঁধে নামল শান্তিনিকেতন থানা। জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য প্রমাণ রাখতে করা হবে ভিডিয়ো রেকর্ডিং। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যাতে জিজ্ঞাসাবাদ এড়াতে না পারেন তাই পুলিশের এমন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে এখন উপাচার্যের বাসভবন ‘পূর্বিতা’ খালি করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বলে সূত্রের খবর। পূর্বিতা যদি ছেড়ে দেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাহলে পুলিশ তাঁকে কোথায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন? এই প্রশ্ন উঠছে।
বিশ🎉্বভারতী বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ে যতদিন উপাচার্য পদে ছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ততদিন🙈 নানা ইস্যুতে বিতর্ক তৈরি করেছেন। উপাসনা গৃহে সাপ্তাহিক উপাসনায় নানা কুমন্তব্য করে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। তা নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠেছিল। কারও সঙ্গে তাঁর সদ্ভাব ছিল না বলে অভিযোগ। অধ্যাপকদের থেকে শুরু করে পড়ুয়াদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতেই দেখেছে সকলে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে পাঁচটি অভিযোগ জমা পড়ে। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পত্তিতে ফলক বসানো থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীকে অবমাননাকর মন্তব্য করার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে একই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
এদিকে বাঙালি কাঁকড়ার জাত–🌳সহ নানা মন্তব্য করেছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। দুর্গাপুজো নিয়েও স্পর্শকাতর মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তা নিয়েও অভিযোগ করেন অধ্যাপক সংগঠনের সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। দিনের পর দিন এসব লেগেই থাকত বিশ্বভারতী প্রাঙ্গণে। বিশ্বকবিকে নিয়েও নানা কথা বলে বিতর্কে জড়ান বিদ্যুৎ। রাজ্য সরকারের রাস্তা আটকানোর অভিযোগ পর্যন্ত ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এই পাঁচটি মামলার জেরে পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। তখন মনের অবস্থা ভাল নেই বলে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এড়িয়ে যান। যদিও পরে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না এবং এক ঘণ্টার বেশি জিজ্ঞাসাবাদ নয় বলে নির্দেশ দেয় আদালত। আর তাঁর বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: র্যাগিং ঠেকাতে রাতে হানাদারি শু𓆏রু অধ্য✤াপকদের, আইআইটি খড়গপুরে নয়া পদক্ষেপ
অন্যদিকে মোট পাঁচটি মামলায় চারজন তদন্তকারী অফিসার আছেন। আগামী ২০ নভেম্বর তাঁকে তিনটি মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। তখন বাঙালি জাতিকে কাঁকড়ার জাত, দুর্গাপুজো নিয়ে কুমন্তব্য এবং রাজ্য সরকারের রাস্তা আটকানো নিয়ে তাঁর কথা শোনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। ২২ নভেম্বর ট্রাস্টের সম্পত্তিতে ফলক বসানো এবং মুখ্যমন্ত্রীকে অবমাননা মামলায় জেরা করা হতে পারে। সুতরাং বিদ্যুৎ এখন চারদিক দিয়ে আটকে পড়েছেন। এম🎃নকী প্রতিটি জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। তাঁর স্টেটমেন্টও রেকর্ড করা হবে। সেগুলি আদালতের কাছে তুলে দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী কি সহযোগিতা করবেন? উঠছে প্রশ্ন।