এখন রাজ্যজুড়ে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। বাংলার মুখ👍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই দখলদার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। বেআইনিভাবে জবরদখল এবং সরকারি জমি বেআইনি পথে বিক্রি ঠেকাতেই এমন অভিযোন শুরু হয়েছে। আর এই বেআইনি পথে সরকারি জমি বিক্রি করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল আরও দু’জনকে। ধৃতরা হল— বিমল রায় এবং মহম্মদ কালাম। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ি থানায় তাদের নিয়ে আসা হয়। তবে বুধবার ডাবগ্রাম–ফুলবাড়ির তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। দেবাশিস প্রামাণিক মেয়র গৌতম দেবের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত। বিমল এবং কালাম সরাসরি দেবাশিস প্রামাণিকের ‘ঘনিষ্ঠ’।
আজ, বৃহস্পতিবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকের সময় দেবাশিস প্রামাণিকের গ্রেফতার নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপꦯাধ্যায়। সকলকে এই বেআইনি কাজ করা থেকে সতর্ক করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যা𝔉য় বলেন, ‘দেখলেন তো দলের জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করিয়েছি। কারণ সরকারি জমি বেআইনি পথে বিক্রি করার অভিযোগ ছিল।’ গ্রেফতার হওয়া দেবাশিস, বিমল এবং মহম্মদ কালামকে আজ জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়। ধৃত বিমল রায়ের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবাশিস প্রামাণিকের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও এই বিমল রায়কে বারবার দেখা গিয়েছিল দেবাশিসের সঙ্গে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: রাজভবনের সামনে শুভেন্দ🤪ুর ধরনা কবে? তারিখ নিয়ে মতবিরোধে এখন ব🌃িশ বাঁও জলে
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর সরকারি জমি যেমন খালি করা হচ্ছে তেমন হকাররা যেসব জায়গা দখল করে ব্যবসা করছেন সেখান থেকে তাঁদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। সোমবার বৈঠক করে প্রথমে এই নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর আজ, বৃহস্পতিবার আবার এই নিয়ে বৈঠক করে পুলিশ এবং নেতাদের কড়া ভাষায় বার্তা দেন। সরকারি জমি জবরদখল বরদাস্ত করবেন না তিনি বলে জানিয়ে দেন। তারপরই তৈরি করে দেন কমিটি। নবান্নের পক্ষ থেকে প্রত্যেক জেলায় পাঠানো হয় নির্দেশিকা। সরকারি জমি বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রে♌ফতার করা হয় ডাবগ্রাম–ফুলবাড়ি এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ দেবাশিস প্রামাণিককে।