রাজনীতির ময়🐠দানে তিনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের কট্টর বিরোধী। লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতেই ঘাসফুল শিবিরকে আরও জোরালোভাবে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন। তারপরেও ভোট প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল নেতাকে পায়ে প্রণাম করলেন বিষ্ণুপুরের বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী সৌমিত🉐্র খাঁ। এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। কেন এরকম করলেন বিজেপি প্রার্থী? তার ব্যাখ্যাও তিনি নিজেই দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ TMC জিতলে মনসা মন্দিরে গরু কাটা হতে পারেꦜ, বিতর্কিত মন্তব্য BJP-র সৌমিত্রের
প্রতিদিনের মতোই আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিজের লোকসভা এলাকায় প্রচারে বেরিয়ে ছিলেন সৌমিত্র। ব্যাটারি চালিত সাইকেল নিয়ে এদিন তিনি প্রচারে বেরিয়ে পড়েন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় এক কাউন্সিলর এবং বিজেপির অন্যান্য নেতা কর্মী ও বিএসএফ জওয়ানরা। ভোট প্রচারে বেরিয়ে তাঁর সামনে দিয়েই যাচ্ছিলেন তৃণমূল🍌ের টাউন সভাপতি সুনীল দাস। তাঁকে দেখা মাত্রই সাইকেল থেকে নেমে সৌমিত্র প্রথমে হাত মেলান ও পরে তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন।
যদিও তৃণমূল সভাপতির সঙ্গে সৌমিত্র খাঁয়ের এই সাক্ষাৎকার শুধুমাত্র সৌজন্যের জন্য। এমনটাই দাবি করেছেন দুই নেতাই। সৌমিত্র বলেন, ‘র⛄াজনৈতিকভাবে আমরা একে অপরের বিরোধী ঠিকই। তবে উনি আমার থেকে বয়সে বড়। তাঁকে সম্মান জানানো আমার কর্তব্য। রাজনৈতিক সৌজন্যবোধ আছে। তার জন্য আমি তাঁকে প্রণাম করলাম। সেই সঙ্গে তাঁর কাছে ভোটের জন্যও আব♑েদন জানালাম।’
বিষ্ণুপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুনীল দাস জানান, তিনি বহু পুরনো রাজনীতিবিদ। প্রথম থেকেই তিনি তৃণমূলের সঙ্গে আছেন। একটা সময় সৌমিত্র তাঁর দলেই ছিলেন। একসঙ্গেই রাজনীতি করেছিলেন। তাই এই সৌজন্য সাক্ষ𒉰াৎ। তিনি জানান, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
অন্যদিকে, সৌমিত্♍র খাঁ এদিন কেন ব্যাটারি চালিত সাইকেলে প্রচার চালিয়েছেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। সৌমিত্র জানান, বর্তমানে পরিবেশ দূষণ একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনে এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে। এই অবস্থায় কাছাকাছি জায়গায় যাওয়ার জন্য যাতে সাইকেল বা এই জাতীয় যান ꦗমানুষ ব্যবহার করেন তার বার্তা দিতেই এদিন সাইকেলে চড়ে প্রচারে বের হয়েছেন। সৌমিত্রর মতে, এর ফলে যেমন পরিবেশ দূষণ কমবে তেমনি মানুষের শরীর স্বাস্থ্যও ঠিক থাকবে।