প্রাথমিক, এসএসসিতে দুর্নীতির মাঝেই এবার এক ডিএলএড কলেজের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠল। টাকা না দিলে পরীক্ষায় নকল করতে দেওয়া হবে না পরীক্ষার্থীদের। এমনই অভিযোগ উঠেছে মালদার ইংরেজ বাজারের সতীশ বি এড কলেজের বিরুদ্ধে। পরীক্ষার্থীরা কলেজ কর্তৃপক্ষকে টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় পরীক্ষায় নকল করার সুযোগ দেওয়া হবে না। তবে এই অভিযোগ নিয়ে কিছু জানতে চায়নি ক🧸লেজ কর্তৃপক্ষ।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত ১৫ জুলাই থে♊কে ডিএলএড-এর প্রথম বর্ষেরꦡ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সেই পরীক্ষায় নকল করার জন্য পরীক্ষার্থীদের প্রত্যেকের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা করে চেয়েছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, পরীক্ষার্থীরা তা দিতে অস্বীকার করায় পরীক্ষার সময় তাদের মানসিকভাবে নির্যাতন🧸 করা হয় বলে অভিযোগ। পরীক্ষার্থীরা এনিয়ে জেলা শাসকের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। মালদা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান বাসন্তী বর্মন ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। কলেজের সম্পাদক রামানন্দ সহাকে এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি অবশ্য কোনও উত্তর দিতে চাননি। ফলে সেক্ষেত্রে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ওটা অভিযোগ কতটা সত্যি তা জানতে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে ডিএলএড পಞরীক্ষার সময় নকল করা নিয়ে। ডিএলএড পরীক্ষার সময় নকল করার ঘটনা শুধু মালদাতেই নয়, রাজ্যের সমস্ত অধিকাংশ ডিএলএড কলেজেই এই ধরনের ঘটনা দেখা যায়। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার আগে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কোথাও ৩ হাজার কোথাও আবার ৫০০০ টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই টাকা দেওয়ার পরে পরীক্ষায় প্রার্থীদের নকল করার সুযোগ করে দেওয়া হয়।