আবাস যোজনায় ঘর প্রাপকদের তালিকা সমীক্ষা করার দায়িত্ব ছিল তাঁর ওপরে। আর সমীক্ষা করতে বেরিয়ে দেখতে পান, বহু পাকা বাড়ির মালিকের নাম রয়েছে তালিকায়। সেই নাম তালিকা থেকে বাদও দেন তিনি। তার পর থেকেই তাঁকে খুনের হ🧸ুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সকালে বাড়ির পিছনে 𝔉পাওয়া গেল সেই অঙ্গনওয়াড়িকর্মীর দেহ। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানা এলাকার শাঁড়াপুল গ্রামের।
নিহতের নাম রেবা রায় বিশ্বাস (৫৯)। স্থানীয় একটি কেন্দ্রে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর কাজ করেন তিনি। তাঁর ওপরেই বর্তেছিল গ্রামে আবাস যোজনায় ঘরপ্রাপকদের নামের তালিকা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব। সেই কাজ করতে গিয়ে তালিকা মিলিয়ে প্রাপকদের বাড়ি গিয়ে তিনি দেখেন, অনেক🅰েরই পাকা বাড়ি থাকলেও তালিকায় নাম রয়েছে। সেকথা সমীক্ষায় উল্লেখ করেন তিনি। পালটা পাকা বাড়ির মালিকদের অনেকে তাঁকে মিথ্যা রিপোর্ট দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। যদিও চাপের সামনে মাথা নোয়াননি রেবা দেবী।
পরিবারের অভিযোগ, এর পরই রে🍨বাদেবীকে খুনের হুমকি দিতে থাকেন কয়েকজন গ্রামবাসী। যার জেরে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এমনকী আত্মঘাতী হতে পারেন বলে পরিবারের সদস্যদের ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। সোমবার সকালে ফের তাঁর সমীক্ষার কাজে বেরনোর কথা ছিল। তার আগে কাকভোরে পরিবারের সদস্যরা দেখেন বাড়ির পিছনে কাঁঠাল গাছ থেকে ঝুলছে রেবাদেবীর দেহ। খবর দেওয়া হয় স্বরূপনগর থানায়। পুলিশকর্মীরা এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাটে পাঠিয়েছেন।
পরিবারের দাবি, দুর্নীতির সঙ্গে আপস না করাতেই এই পরিণতি হল রেবাদেবীর। যে বা যারা তাঁকে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন তাদের শাস্তির দাবি করেছেন পরিবারে🦄র সদস্যরা। তবে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি তারা।
ওদিকে এই 🎃ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকালে স্বরূপনগর থানার সামনে তরণীপুর - তেঁতুলিয়া সড়ক অবরোধ করে বিজেপি।