বিদেশে পড়তে গ🐠িয়ে রহস্যমৃত্যু হল দুর্গাপুরের এক গবেষ🍌ক ছাত্রীর। সুইডেনে গবেষণা করতে গিয়ে দুর্গাপুরের ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। দুর্গাপুরের ওই ছাত্রী সুইডেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করতেন। মৃত ছাত্রীর নাম রোশনি দাস। রোশনিকে সুইডেনে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। মেধাবী রোশনির রহস্যমৃত্যু নেপথ্য কাহিনী রয়েছে। তাঁর মৃত্যুর খবর আসতেই পরিবার পরিজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমেছে।
এদিকে জুলজ꧟ি অনার্সের পর বায়োটেকনোলজিতে স্নাতকোত্তর করছিলেন দুর্গাপুরের ছাত্রী রোশনি দাস। সুইডেনের উমেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউরো সায়েন্স নিয়ে গবেষণা করছিলেন বঙ্গ তনয়া রোশনি। মৃতের মা জানান, ২৯ সেপ্টেম্বর শেষ কথা হয়েছে মেয়ের সঙ্গে। আর ১৩ অক্টোবর মৃত্যুর খবর দেয় সুইডেনের দূতাবাস। তাঁর মা মমতা দাসের বক্তব্য, ‘রোশনির দেহ ফ্ল্যাটের মধ্যেই মিলেছে।’ এক সুইডিশ নাগরিককে এই খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু কেমন করে ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হল সেটা এখনও রহস্যই রয়ে গিয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত যাতে শুরু হয় ত꧃ার উদ্যোগ নিতে শুরু করছে পরিবারের সদস্যরা।
অন্যদিকে সূত্রের খবর, রোশনি মৃত্যুর ঘটনায় যাঁকে গ্রেফতার💛 করা হয়েছে তাঁর সঙ্গে আগে থেকে একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। দু’জনের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। তবে এই সুইডিশ নাগরিক কোনও অন্যায় আবদার করেছিলেন। যা মেনে নেননি রোশনি। আর তার জেরেই তাঁকে খুন করে ওই সুইডিশ নাগরিক। রোশনি কলিঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজির ছাত্রী ছিলেন। পরে গবেষণার জন্য সুইডেন যান তিনি। অক্টোবর মাসের ১৩ তারিখ রোশনির পরিবারের কাছে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। সুইডেন দূতাবাস থেকে ভারতীয় দূতাবাসে খবর দেওয়ার পর সেই খবর পরিবারের কাছে এসে পৌঁছয়।
আরও পড়ুন: মুখপোড়া মহিলার দেহ উদও্ধার, পাশেই মিলল ব্যবহৃত কন্ডোম, গণধর্ষণ করে খুন মালদায়!
আর কী জানা যাচ্ছে? রোশনির পরিবার সূত্রে খবর, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রোশনির সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছিল পরিবারের সদস্যদের। কিন্তু তার পর থেকে রোশনির সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়ে ওঠেনি। তখন পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলেন ব্যস্তꦆ থাকায় মেয়ে ফোন করতে পারছে না। কিন্তু তারপর যে এমন খবর আসবে সেটা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। কিন্তু গত ১৩ অক্টোবর রোশনি দাসের মৃত্যু খবর বাড়িতে আসে। রোশনির পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে ঠাণ্ডা মাথায় 𒁏খুন করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুইডেনে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে রোশনির পরিবার। রোশনির দেহ যাতে দেশে ফিরিয়ে আনা যায় সেটাও দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয় সাংসদকে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই ঘটনা নিয়ে আবেদন জানানোর কথাও জানিয়েছে মৃত ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। ২০১৮ সালে ইন্টিগ্রেটেড মেডিক্যাল বায়োলজি নিয়ে সুইডেনে গবেষণা করতে গিয়েছিলেন রোশনি।