বাংলায় আগামী ১৩ নভেম্বর ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার মধ্যে তালড্যাংরা বিধানসভা ⛎কেন্দ্র একটি। কিন্তু এখানে উপনির্বাচনের প্রাক্কালে ব্যাপক ভাঙন দেখা গেল বিরোধী শিবিরে। এখন সব রাজনৈতিক দলই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ চলছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে প্রার্থীদের প্রচার। এই আবহের মধ্যে বিজেপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল ছেড়ে শতাধিক নেতা–কর্মী তৃণমূ💧ল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। উপনির্বাচনের মুহূর্তে এই যোগদান শাসকদলের অনেকটাই শক্তিবৃদ্ধি করল বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে তালড্যাংরা বিধানসভার সিমলাপালে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মেলনের মঞ্চে বিজেপি–সহ অন্যান্য বিরোধী দল ছেড়ে প্রায় ১৮১ জন নেতা–কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করল। বিজয় সম্মেল♎নের মঞ্চে ওই সমস্ত নেতা–কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বাঁকুড়ার সাংসদ তথা বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অলকা সেন মজুমদার, উপনির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা সিমলাপাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ফাল্গুনী সিংহবাবু এবং স্থানীয় নেতৃত্বরা।
আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় প্রোমোটারকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা, শুটআউটের অভিযোগ, তদন্তে পুলিশ
দু’দিন আগে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক জেলা নেতৃত্বকে সতর্ক করে বার্তা দেন, বিরোধী ভোট একজোট করার ষড়যন্ত্র চলছে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। বামের ভোট রামে যেতে পারে। তার দোসর হতে পারে কংগ্রেসও। কিন্তু সেখানে দেখা গেল, প্রধান বিরোধী দলে ব্যাপক ভাঙন। বিজেপি ছেড়ে আসা নেতা–কর্মীদের অভিযোগ, উপনির্বাচনে বিজেপি যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে সেই প্রার্থী তাঁদের পছন্দ হয়নি। কারণ ওই প𓆉্রার্থী বহিরাগত। বারবার দলকে জানিও কোন কাজ হয়নি। বিজেপিতে থেকে মানুষের জন্য কাজ করার কোন সুযোগ নেই। মানুষের কাজ করতেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করা। উপনির্বাচনের আগে এই দলবদল বিজেপিকে অনেকটাই ধাক্কা দেবে বলে মনে করছেন তাঁরা।