এই বছরের🤪 টেট পরীক্ষা খুব সুন্দরভাবে সামল♏েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিরোধীরা তেমন অভিযোগ তুলতে পারেনি। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি ধোপে টেকেনি। কিন্তু এত কড়া প্রহরার মধ্যেও রবিবাসরীয় টেট পরীক্ষা দুই বন্ধু ধরা পড়া গেল। মোবাইল নিয়ে ঢুকে একে অন্যকে সাহায্য করার ছক কষা হয়েছিল। তবে সেটা বাস্তবে সম্ভব হয়নি। মোবাইল নিয়ে ঢুকে পড়া দুই পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আবার তিনজন ভুয়ো পরীক্ষার্থীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সুতরাং কড়া ব্যবস্থা যে ছিল সেটা এই ঘটনাগুলি থেকেই প্রমাণ হয়।
এদিকে গ্রেফতার হওয়া দুই বন্ধুর নাম সন্দীপ কুটি ও দেবাশীস মৃধা। এই দু’জনের বাড়ি নদিয়ার ধানতলা থানার বহিরগাছি এলাকায়। তাঁদের সিট পড়েছিল কৃষ্ণনগর কালিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে। দুই বন্ধুই পরীক্ষা দিতে ঢুকে একে অন্যকে সাহায্য করবে বলেই মোবাইল সঙ্গে রাখে। গোটা ঘটনার কথা তারা স্🍸বীকার করেছে। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। স্কুলের শিক্ষাকর্মীরা মোবাইল–সহ দু’জনকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। আজ, সোমবার তাদের কোতোয়ালি থানার পুলিশ আদালতে তোলে। এই ঘটনায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে তাদের বাড়িতেও।
অন্যদিকে তিনজন ভুয়ো পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করল মালদা থানার পুলিশ। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, পুষ্পাঞ্জলী কুমারী নামে এক মহিলা পুরাতন মালদার গৌড় কলেজে পরীক্ষায় বসেন। তাঁকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় পরিদর্শক একাধিক প্রশ্ন করেন। তখনই প্রকাশ্যে আসে আসল তথ্য। বিশ্বজিৎ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির স্ত্রীর হয়ে পরীক্ষায় বসেন তিনি। আটক করা হয় পুষ্পাঞ্জলীকে। তাঁকে জেরা করেই দুই শাগরেদ বিশ্বজিৎ মণ্ডল এবং বিজয় কুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত পুষ্পাঞ্জলী ও বিজয়ের বাড়ি বিহারের পূর্ণিয়♚ায়। আর বিশ্বজিতের বাড়ি পুখুরিয়া থানার হরিপুরে।
আরও পড়ুন: গৃহহীনদের শেল্টারে টাকা নেওয়ার অভিযোগ, কড়া প🎶দক্ষেপ করল কলকাতা পুরসভ💎া
এছাড়া এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দুই বন্ধু দেবাশীস মৃধা বলেছে, ‘আমার কাছে মোবাইল ছিল না। বন্ধুর কাছে ছিল।’ আর সন্দীপ কুটির কথায়, ‘আমি সাহায্য করতেই মোবাইল নিয়ে ঢুকেছিলাম। শিক্ষকরা দেখতে পান।’ আর আজ, সোমবার ধৃত তিনজনকে মালদা আদালতে তোলা হলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই চক্রটির সঙ্গে আর✅ও কেউ জড়িত আছে কিনা সেটা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পু✅লিশ।