এই মাসেই প্রকাশিত হতে পারে ২০১৭ সালের প্রাথমিক টেটের ফলাফল। সূত্রের খবর, শীঘ্রই প্রকাশ হতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা টিচার এলিজিবিলিটি টেস্টের ফল। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পরীক্ষা হলেও এখনও সেই ফল প্রকাশ করা হয়নি। তবে জানা গিয়েছে পুজোর আগেই ফলপ্রকাশ করা হতে পারে। পাশাপাশি স্বচ্ছতার স্বার্থে উত্তরপত্র আপলোড করা হবে ওয়েবসাইটে।উল্লেখ্য, এর আগে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গা পুজোর আগেই সাড়ে ২৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করেন। এই পরিস্থিতিতে পুজোর আগেই ফল প্রকাশের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। প্রাথমিকে ১৬ হাজার ৫০০ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে পর্ষদের তরফে। এই বছর যেই পরীক্ষাটি হয় তা ২০১৭ সালে হওয়ার কথা ছিল। চারবছর পর চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় শেষমেষ। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম এবং ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। নিয়োগ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বছরের পর বছর মামলা চলছে টেট নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা এখটি বড় চ্যালেঞ্জ পর্ষদের কাছে। এই পরিস্থিততে স্বচ্ছতার স্বার্থে উত্তরপত্র আপলোড করা হবে ওয়েবসাইটে। পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন, এবার থেকে প্রতি বছর রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা টেট।এদিকে তিনদিন আগেই ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় প্রশ্ন ভুল মামলায় যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী পরবর্তীকালে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। কেন এখনও সে ব্যবস্থা করা হয়নি সে প্রশ্নও করেন তিনি। কলকাতা হাই কোর্টের তরফে উত্তীর্ণ ওই প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়।