গত বুধবার দুঃসাহসিক ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল মালদায়। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই সꦫমবায় ব্যাঙ্ক লুট করতে ঢুকে পড়🎃েছিল দুষ্কৃতীরা। ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ারকেও গুলি করেছিল তারা। ঘটনার পরই পুলিশ পৌঁছলে দুপক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই হয়। তাতে গুলি লাগে ২ দুষ্কৃতীর। এরমধ্যে একজনের পায়ে এবং অন্যজনের কোমরে গুলি লাগে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। যার মধ্যে রয়েছে এই ব্যাঙ্ক ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড সমীর মণ্ডল। আর এই সমীর মণ্ডলকে নিয়েই মালদার রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কিন্তু, কেন তাকে নিয়ে হঠাৎ করে জোর চর্চা শুরু হল রাজনীতিতে?
আরও পড়ুন: মালদ꧅ার ব্যাঙ্কে ডাকাতির ঘটনায় মাস্টার মাইন্ড সহ ধৃত ৪, নিষ্ক্রিয় করা হল বোমা
জানা গিয়েছে, সমীর গাজোলের বাসিন্দা। কৃষ্ণপুরের সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে কিছুটা দূরেই তার বাড়ি অবস্থিত। তবে এক সময় নাকি একজন বিজেপি নেতা ছিল এই সমীর। গত পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির প্রতীকে সমীর ভোটে লড়েছিল। আর এই বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালদার রাজনৈতিক মহলে। সমীরের বাবা রতন মণ্ডল জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রানিগঞ্জ -২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির হয়ে লড়েছিল। তবে জয়ী হতে পারেনি। তার বিপক্ষে তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন।
পরিবারের দাবি, ভোটে হেরে যাওয়ার পরেই বিভিন্ন মামলায় বিভিন্ন সময়ে সমীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চুরি, ছিনতাই বা ডাকাতির মামলায় আগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে জামিনে মুক্তি পায় সমীর। উল্লেখ্য, মালদা𒐪 জেলার গাজোল থানার রানিগঞ্জ এলাকায় কৃষ্ণপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেড পরিচালিত মিনি ব্যাঙ্কে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। বুধবার দুপুরে কয়েকজনের দুষ্কৃতীদল সেখানে ঢুকে পড়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ডাকাতি চালায়। তখন ব্যাঙ্কের অ্যালার্ম বেজে উঠলে এক ব্যাঙ্ককর্মীকে গুলি করা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্রে করে শোরগোল পড়ে যায়।
এদিকে, এই ঘটনায় খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। এরপর পুলিশ আসতেই সেখান থে❀কে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তখন দুষ্কৃতীদের পিছু ধাওয়া করে পুলিশ। দুপক্ষের মধ্যে চলে গুলির লড়াই।🥂 এরফলে গুলিবিদ্ধ হয় দুই দুষ্কৃতী। তার মধ্যে একজন হল সমীর মণ্ডল। পুলিশ জানিয়েছে, সেই হল এই ডাকাতির ঘটনার মাস্টার মাইন্ড। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে সমীর।