সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে বাম–কংগ্রেস জোট করে আসনটি জিতেছে। আর সেখানে বিজেপি ভোট ট্রান্সফার করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। এবার সেটা দিনহাটাতে করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন বিধায়ক তথা মন্ত্রী উদয়ন গুহ। আস꧅ন্ন পঞ্চায়েꦆত নির্বাচনে বামফ্রন্ট, বিজেপি, কংগ্রেস এবং বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের একাংশ মহাজোট করার পরিকল্পনা নিচ্ছে বলে জানালেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। তাই তার পালটা দাওয়াই দিতে হবে বলেও কর্মীদের পথ বাতলে দেন তিনি।
ঠিক কী বলেছেন উদয়ন? কয়েকদিন ধরে নানা বিতর্ক তৈরি করছেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। কখনও কমল গুহের নাম নিয়ে এসে চিরকূট🐓ে চাকরির পক্ষে সওয়াল করছেন। আবার কখনও জ্যোতিবাবুকে জড়িয়ে দিচ্ছেন। এবার দিনহাটার পাঁচমাথার মোড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পথসভা থেকে দলের কর্মীদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কি করতে হবে তার বার্তা দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। এদিন তিনি বলেন, ‘সাগরদিঘি স্টাইলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোট করার পরিকল্পনা চলছে। সেটা রুখে দিতে হবে।’
আর কী জানা যাচ্ছে? এদিনের সভা থেকে বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করেন উত্তরবঙ্গ উ♐ন্নয়নমন্ত্রী। সভাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লক, বিজেপি শূন্য ছিল। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে🧜ও যাতে বিরোধীরা শূন্য থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হলেই শহরের কর্মীরাও গ্রামে গিয়ে গ্রামের কর্মীদের সহযোগিতা করবে। তাই এখন থেকে কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’
আর কী বলেছেন মন্ত্রী? নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। এই আবহে দিনহাটার বুড়িরহাটের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে উদয়ন গুহ বলেন, ‘নিরপেক্ষ তদন্ত হলে ওই মন্ত্রীরও প্যান্ট খুলবে।’ তবে এটা যে নাম না করে নিশীথ প্রামাণিকের উদ্দেশে বলেছেন তেমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর সভা থেকে যে সমস্ত বাম নেতাদের পরিবারের সদস্যরা চাকরি পেয়েছেন তার নাম উল্লেখ করেন। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য🌱 করতে শোনা যায় মন্ত্রী উ⛄দয়ন গুহকে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘তখন মুখ্যমন্ত্রীর কোটা ছিল ১০টা আসন ডাক্তারিতে আর ১০টা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। ভাল রেজাল্ট করে, জয়েন্ট পাশ করেও অনেকে পড়তে পারেনি। অথচ তাদের বঞ্চিত করে দিনহাটার সিপিএম নেতা মানিক দত্তর ছেলে সেকেন্ড ডিভিশনে পাশ করে আজ ডাক্তার হয়েছে জ্যোতিবাবুর কোটায়। জ্যোতিবাবু, দুর্নীতি করেননি আপনি।’