লকꦫ্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বৃদ্ধি হতেই বাংলার মহিলারা দারুণ খুশি হয়েছে। এই বর্ধিত অর্থ বাংলার মা–বোনেরা পাবেন ১ এপ্রিল থেকে। সেই টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। তবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কিছুদিন আগে থেকে। এখন যাঁরা ৫০০ টাকা পান তাঁরা পাবেন ১০০০ টাকা। আর যাঁরা ১০০০ টাকা পেতেন তাঁরা পাবেন ১২০০ টাকা। বিরোধীদের দাবি ছিল, এটা লোকসভা নির্বাচনের আগে চমক। তবে আজ, রবিবার বিষয়টি খোলসা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, মূল্যবৃদ্ধির জেরে টাকা বাড়ানোর আবেদন জানান সুবিধাপ্রাপ্ত মহিলারাই। তাঁদের কথা ভেবেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন অভিষেক।
এদিকে আজ রবিবার নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারের মহেশতলায় সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা কেন বাড়ানো হয়েছে সেটা নিয়ে মুখ খোল𝕴েন। তিনি বলেন, ‘মূল্যবৃদ্ধি কেন্দ্রীয় সরকার কমাতে পারছে না। সেটা বেড়ে চলেছে। মোদী সরকারের একের পর এক জনবিরোধী সিদ্🌸ধান্তের জেরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাগামছাড়া হয়েছে। মা–বোনেরা বলছিলেন আমাকে, দিদিকে বলুন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাটা বাড়িয়ে দিতে। বিধবাভাতা, বার্ধক্যভাতা নিয়েও বলছিলেন, যাতে অল্প হলেও বাড়িয়ে দেওয়া যায়।’
আরও পড়ুন: শুভেন্দু অধিকারীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপ🤪াধ্যায়, উঠল খালিস্তানি ইস্যু
অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি পেট্রল, ডিজেল, কেরোসিন এবং রান্নার গ্যাসের দাম ꦫআগুন। অভিষেকের কথায়, ‘রান্নার গ্য়াস আগে ৪০০ টাকায় পাওয়া যেত। এখন ১২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। ৮০ টাকার সর্ষের তেলের দাম এখন ২০০ টাকা। পাতিলেবু, আদা, পেঁয়াজ, ছোঁয়া যাচ্ছে না। ৫০ টাকার পেট্রলের দাম এখন ১০০ টাকা। ৪০ টাকার ডিজেল ৯০ টাকা। কেরোসিন তেলও ৮০ টাকা। তাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়ানোর আবেদন আসছিল। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এছাড়া আগামী ১ এপ্রিল থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানান অভিষেক। ১🎃০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে হেরে গিয়ে গায়ের জোরে সেই টাকা আটকে রেখেছে। গত দু’বছরে তা আদায় করার জন্য বারবার বৈঠক, আন্দোলন, মিছিল করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী ও সাংসদরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে চিঠি দিয়েছেন। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু টাকা আসেনি। তাই নিজেদের কোষাগার থেকেই সেই টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাত পোহালেই ১০০ দিনের কাজের টাকা মিলবে।