বর্ষা শুরু হ🦹তেই বঙ্গোপসাগরে দেদার মিলছে ইলিশ। যার ফলে কমবেশি সব বাজারেই ইলিশের জোগান বেড়েছে। আর সেই।সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ইলিশের দামও সাধ্যের মধ্যে এসেছে। এই ইলিশ ধরার জন্য মৎস্যজীবীরা পাড়ি দিচ্ছেন সমুদ্রে। কিন্তু, বঙ্গোপসাগরে সেই ইলিশ ধরতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। মাঝ সাগরে ডুবে গেল মৎস্যজীবীদের একটি ট্রলার। অন্যান্য মৎস্যজীবীদের সহায়তায় কোনওভাবে প্রাণে বাঁচলেন ওই ট্রলারে থাকা ৮ জন মৎস্যজীবী।
আরও পড়ুন: আড়াই দিন ধরে ভাসছিলেন সমুদ্রে! ৭🌃 বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার ভারতীয়দের
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইলিশের সন্ধানে ‘মা শীতলা’ নামে একটি ট্রলারে করে গঙ্গাসাগর থেকে বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন আটজন মৎ🐭স্যজীবী। এরপর বিকেল নাগাদ ওই ট্রলারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ট্রলারটি ডুবে যায়। তখন ৮ জন মৎস্যজীবী জলের মধ্যেই ভাসতে থাকেন। সেই সময় পাশে থাকা মৎস্যজীবীদের একটি ট্রলার এগিয়ে এসে ওই মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করে। মৎস্যজীবীদের পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে,🎶 তাঁদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হয়েছে। ৮ জন মৎস্যজীবী সকলেই সুস্থ রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মেদিনীপুরে। সেখানে তাদের চিকিৎসার পর বাড়িতে নিয়ে আসা হবে বলে জানা গিয়েছে।
মৎস্যজীবীদের কথায় এই দুর্ঘটনায় প্র𒉰াণহানির আশঙ্কা ছিল। অন্য ট্রলারটি তাঁদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে না আসলে সে ক্ষেত্রে বিপদ ঘটতে পারত। তবে ওই ট্রলারটি তৎপরতার সঙ্গে এগিয়ে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করায় তাঁরা প্রাণে বেঁচেছেন।
উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে ট্রলার দুর্ঘটনা এই প্রথম নয়। গত ২০ জুলাই একইভাবে একটি ইলিশ বোঝাই ট্রলার বঙ্গোপসাগরে ডুবে গিয়েছিল। ওই ট্রলারটির নাম ছিল ‘অনিক’। সেটি বঙ্গোপসাগর থেকে নামখানার দিকে আসছিল। সেই সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রলারটি। ওই ট্রলারে ছিলেন ১৭ জন মৎস্যজী💛বী। সেই সময় পাশের অন্য মৎস্যজীবীদের একটি ট্রলার এসে তাঁদের উদ্ধার করে▨। ওই দুর্ঘটনার ফলে মৎস্যজীবীদের কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছিল।
এদিনের দুর্ঘটনাগ্রস্থ এক মৎস্যজীবীর পরিবারের সদস্য জানান, ‘ঘটনার পরে প্রশাসনের তরফে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সকল সুস্থ রয়েছে আমরা তাদের আনতে যাব।’ উল্লেখ্য, ইলিশ ধরার ওপর সরকারের জারি করা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছিল গ✨ত ১৫ জুন। এরপর থেকে বিগত এক মাসে বিভিন্ন জায়গায় ইলিশ ধরা পড়েছে মৎস্যদজীবীদের জালে। তারপর থেকেই ইলিশ ধরার জন্য মাঝ সমুদ্রে পাড়ি জমাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা।