হানাহানি, সংঘাত অনেক কিছু শোনা যায় মাঝেমধ্য়ে। তবে 💫বাংলার অন্তরাত্মায় তো রয়েছে সম্প্রীতির বীজ। সম্প্রীতির আবেগ। শত আঘাতেও সেই আবেগের মৃত্যু নেই। আর সেই সম্প্রীতির ছবিই ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ায়। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে আরানি এলাকায় মৃত্যু হয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দা রামবিলাস রায়ের। অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিন্তু পরিবারের কয়েকজন ছাড়া দেহ কাঁধে করে নিয়ে যাওয়ার মতো সেভাবে কেউ ছিলেন না। পরিজনরা কাছে পিঠে কেউ থাকেন না। এদিকে পাড়া প্রতিবেশীরাও ভিন্ন ধর্মের। আর সেই সময়ই এগিয়ে এলেন স্থানীয় মুসলিম যুবকরা। আবেদ আলি, আসিফদের কাছে রামবিলাস রায় ছিলেন খুব প্রিয়। তাঁর মৃত্যুর পরে শেষ যাত্রায় সঙ্গী হলেন তাঁরা। রামবিলাসের ছেলে সুজয় রায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রতিবেশীরাই আমাদের সব কিছু।ওরাই আত্মীয়। সব সময় ওদের আমরা পাশে পেয়েছি।
এদিকে স্থানীয় মুসলিম যুবকরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রামবিলাস কাকা আমাদের খুব আপনজন ছিলেন। আমরা কখনই অন্য ধর্মের বলে মনে করতাম না। তিনিও আমাদের আপন সন্তানের মতো ভালোবাসতেন। 💞তাঁর শেষযাত্রায় থাকতে পেরে ধন্য মনে করছি। কার্যত এলাকায় অনেকের কাছে প্রিয় ছিলেন রামবিলাস রায়।
তাঁর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন প্রতিবেশীরা। এরপরই এগিয়ে আসেন তাঁরা। যাবতীয় ধর্মের ভেদাভেদের গন্ডিকে দূরে সরিয়ে রেখে শোকগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ান স্থানীয় মুসলিম যুবকরা। একবারের জন্য়ও তাঁরা পিছু হঠেননি। গোটা রাস্তায় তাঁরা দেহের সঙ্গে ছিলেন। কাকার দেহ কাঁধে তুলে নেন তাঁরা। হোক না অন্য ধর্মের। তবুও প্রতিবেশী বৃদ্ধে♛র শেষযাত্রায় সঙ্গী হতে পেরে তাঁরা ধন্য।
তবে বিষয়টিকে ব্যতিক্রমী হিসাবে দেখতে তাঁরা একেবারেই রাজি নন। তাঁদের মতে, আমাদের মধ্যে কোথাও কোনও বিভেদ নেই। কোনওদিন সেটা মনেও হয় না। সুখে দুঃখে সারাজীবন সবাই সবাইয়ের পাশে☂ থাকি। শেষবেলায় থাকব না?
রামবিলাস রায়। বহুদিন আগে তাঁর বংশধররা বিহার থেকে আরানিতে এসেছিলেন। তখন থেকেই এই গ্রামের𒈔 লোকজন তাঁদের পাশে থেকেছেন। আর বিহারে ফিরতে মন চায়নি। এত ভালোবাসা ছেড়ে যেতে মন চায়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান জাকির হোসেন সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, খুব সরল ধরনের মানুষ ছিলেন কাকা। একজন পিতৃতুল্য মানুষকে হারিয়েছি।
এই খ🅘বরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এব🍃ার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup