শীতের মরশুমেও দাম কমছে না শাক–সবজি থেকে আলু–পেঁয়াজের। এই নিয়♊ে কড়া অবস্থান নিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাম কমাতে বাজারে গিয়ে টাস্ক ফোর্সকে কাজ করতে বলেছেন। সেই নির্দেশের পর শহর থেকে গ্রামবাংলার বাজারে হানা দিয়েছেন টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিরা। এখনও আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৫ টাকা। আর চন্দ্রমুখী আলুর দাম ৪৫ ট꧟াকা। বৃহস্পতিবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে দাম বৃদ্ধি নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরও আজ, শনিবার আলু–পেঁয়াজের দামে তেমন কোনও হেরফের দেখতে পাননি মানুষজন বলে অভিযোগ।
আজ, শনিবার বাজারে গিয়ে গৃহস্থরা শাক–সবজির দাম একটু কমেছে বুঝতে পারেন। 💟কিন্তু আলু–পেঁয়াজের দাম যে কমল না! আজও বাজারে ৩৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হয়েছে। তাই টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিদের এবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। এটা প্রথমবার হল। বাংলাඣর মুখ্যমন্ত্রী দু’দিন আগে বলেছিলেন, ‘আমরা উৎপাদনে স্বনির্ভর। চাষের জন্য় সার থেকে ইনসিওরেন্স সব দেব। তারপরও রাজ্যের মানুষকে বেশি টাকা দিয়ে আলু কিনতে হবে কেন? রাজ্যের চাহিদা পূরণ না করে কেন বাড়তি মুনাফার জন্য ভিন রাজ্যে আলু পাঠানো হবে?’
আরও পড়ুন: সিতাই–মাদারিহাট–নৈহাটিতে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস, ধুয়েমুছে সাফ বিরোধীরা, অকাল হোলি
এরপরই বৈঠকে বসে টাস্ক ফোর্স। আর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আপাতত ভিন রাজ্যে আলু রফতানি করা বন্ধ হয়েছে। এতে দাম কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সীমান্ত সিল করা হয়েছে। তারপরই আলু, পেঁয়াজ–সহ শাক–সবজির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে শুক্রবার থেকে কলকাতা এবং জেলার বাজারগুলিতে অভিযানে নামেন টাস্কফোর্সের প্রতিনিধিরা এবং প্রশাসনের কয়েকজন। আর তারপরই সবজির দাম বাজারে একটু কমেছে। কিন্তু আলু–পেঁযাজের দাম কমানো যায়নি বলে ক্রেতাদের নজিরবিহীন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে প্রতিনিধিদের।
এছাড়া সুফল বাংলায় পর্যন্ত ৩২ টাকায় আলু বিক্রি হচ্ছে। কিছুতেই ৩০ টাকার নীচে নামছে না। আজ, শনিবার সকালে মেদিনীপুরের রাজবাজারে অভিযানে যান টাস্ক ফোর্সের কর্তারা। সেখানে তাঁদের কাজ করতে দেখে কয়েকজন ক্রেতা রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাজারে অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে কিনা সেটা দেখা তো আপনাদের ডꦐিউটির মধ্যেই পড়ে। তাহলে প্রত্যেকবার মুখ্যমন্ত্রী বলার পর কেন আপনাদের টনক নড়ে?’ এমন কথা শুনে বেশ চাপে পড়ে যান টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তখন নিয়মিত অভিযান🃏ের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন তাঁরা। বর্ধমান থেকে মানিকতলা হানা দেন টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিরা।