মালদহে মানিকচকে ঘাটের কাছে ডুবে গেল একটি পণ্যবাহী ভেসেল। তাতে ১০ টি লরি ছিল। তার মধ্যে আটটি লরি গঙ্গায় পড়ে যায়। তলিয়ে যান কয়েকজন যাত্রীও। এখনও কয়েকজনের খোঁজ মিলছে না। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ'টা নাগাদ ঝাড়খণ্ডের রাজমহল থেকে মানিকচক ঘাটে আসে ওই পণ্যবাহী ভেসেলটি। তাতে পাথরবোঝাই ১০ টি লরি ছিল। জেটিতে দাঁড় করানোর সময় ভেসেলের নিয়ন্ত্রণ দাঁড়িয়ে ফেলেন চালক। একইসঙ্গে বিকল হয়ে যায় ভেসেলের ইঞ্জিন।ভেসেলটি একদিকে হেলে যায়। ভেসেলে থেকে একের পর এক লরি গঙ্গায় পড়ে যেতে থাকে। সবমিলিয়ে আটটি লরি গঙ্গাবক্ষে পড়ে যায়। ডুবে যায় ভেসেলটি। লরির মধ্যে চালক ও খালাসিরাও ছিলেন। কয়েকজন গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে পাড়ে উঠে আসেন। ভেসেল ডুবির খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে মানিকচক থানার পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল। পৌঁছান পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া এবং জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। ঘাট সংলগ্ন এলাকায় অন্ধকার থাকায় জেনারেটরের মাধ্যমে সার্চ লাইট জ্বালিয়ে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। আনা হয়েছে বোট। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ভেসেলের ন'জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকে সুস্থ আছেন। এখনও পাঁচ-ছ'জন নিখোঁজ আছেন বলে ধারণা জেলা প্রশাসনের। তবে সেই সংখ্যাটা স্পষ্ট নয়।কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজমহল-মানিকচকের মধ্যে যে ভেসেলগুলি চলাচল করে, সেগুলিতে প্রায়শই বাড়তি লরি থাকে। সেই ভেসেলে ওঠেন যাত্রীরাও। সবমিলিয়ে অতিরিক্ত ভারের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। সেই অভিযোগ নিয়েও জেলা প্রশাসনের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।তবে মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল জানিয়েছেন, রাজমহল থেকে মানিকচকে আসার পথে দুর্ঘটনা ঘটেছে। আপাতত উদ্ধারকাজের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হবে। দোষ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।