নতুন বছরে (২০২৪ সাল) সাগরদ্বীপ দিয়ে জেলা সফর শুরু করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানুয়ারি মাসের প্রথমে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সাগরদ্বীপে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সব ঠিক থাকলে ৩ এবং ৪ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর সফরে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ ১২–১৫ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলা। এই মেলায় লাখ লাখ মানুষ পুণ্যস্নান করতে আসবেন। তা নিয়ে এখন চলছে জোর প্রস্তুতি। কারণ ডিসেম্বর মাস শেষ হতে আর একসপ্তাহ বাকি। আর এখানে বাংলার পাশাপাশি গোটা দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ এসে থ🍷াকেন। প্রত্যেক বছরই সরেজমিনে পরিদর্শনে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেটাই হতে চলেছে। যা নিয়ে এখন চর্চা তুঙ্গে।
এদিকে নবান্ন সূত্রে খবর, ২৭ ডিসেম্বর অর্থাৎ আগামী বুধবার বেলা ১২টায় নবান্ন সভাঘরে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। ওই বৈঠকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে রাজ♎্যের ১৫ জন প্রথম সারির মন্ত্রীকে। এমনকী ১৮টি দফতরের সচিবদের হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গঙ্গাসাগর মেলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকেও বৈঠকে যোগদানের আমন্ত্রণ করা হয়েছে। গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে দু’জন মন্ত্রী বৈঠক করলেন। আর সমস্ত আধিকারিকদের উপস্থিতিতে আজক🦩ের মেলায় কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করলেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী পুলক রায় এবং সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।
অন্যদিকে নবান্ন সূত্রে খবর, এখানে এসে মুখ্যমন্ত্রী কপিল মুনির আশ্রম পরিদর্শনে যেতে পারেন। মেলার আয়োজন নিয়ে কথাও বলতে পারেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী সাগরদ্বীপে পৌঁছনর আগেই বৃহস্পতিবার মুড়িগঙ্গায় ড্রেজিং থেকে শুরু করে গঙ্গাসাগর মেলায় সেচ দফতরের হাতে থাকা সমস্ত কাজ খতিয়ে দেখতে সাগরদ্বীপে পরিদর্শনে এসেছিলেন সেচমন্ত্রী 🌠পার্থ ভৌমিক। লট ৮–এর অদূরে ২ ও ৩ নম্বর পোলেরꦓ মধ্যে নতুন একটি চর দেখা গিয়েছে। ড্রেজিংয়ের কাজ হয়ে গেলে নতুন করে দেখতে পাওয়া ওই চর কাটাই এখন প্রশাসনের কাছে বড় চিন্তার কারণ। এই চর কাটতে ড্রেজার নিয়ে আসা হচ্ছে ফরাক্কা থেকে বলে সেচ দফতর সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: খাস কলকাতার অশ্বত্থ গাছে ব্রহ্মদত্যি আছে! গাছ কাটতে চরম ব꧅িপাকে পড়ল🃏েন মেয়র
ইতিমধ্যে দফতরের মন্ত্রী পুলক রায় গঙ্গাসাগর পরিদর্শন করে এসেছেন। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা সাগর বিধানসভার বিধায়ক। এই মেলা আয়োজনের ক্ষেত্রে তাঁকে বিশেষ ভূমিকা নিতে হচ্ছে। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে। আর তার একসপ্তাহ আগে রাজ্যে গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হবে। মকর সংক্রান্তিতে হিন্দু ধর্মের মানুষজনের কাছে গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তাই রাজ্য প্রশাসন এবারের মেলা আয়োজনে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে। আজ, শনিবার এসপি, ওসি, এসডিও কাকদ্বীপ, জিবিডিএ চেয়ারম্যান, সভাপতি, সহকারি সভাপতি সাগর পঞ্চায়েত সমিতি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের 𓄧সভাধিপতি এবং সহকারী সভাপতি–সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন প্রস্তুতি দেখতে।