গতকাল রাতেও যা ছিল অজানা, অকল্পনীয় আজ, বৃহস্পতিবার সকাল হতেই সেটাই ঘটল। একরাশ টেনশন নিয়ে টিভির সামনে বসে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শুনছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সাংবাদিক বৈঠক। তিনি মেধাবী ছাত্র। কিন্তু এমনটা তাঁর সঙ্গে ঘটবে সꦜেটা অজানা ছিল। কল্পনাও করতে পারেননি বাস্তবটা এত খুশি বয়ে নিয়ে আসবে। টিভির সামনে বাবাকে নিয়ে বসেছিলেন মেধাবী মাধ্যমিক পড়ুয়া। আর চোখের সামনেই দেখলেন, নিজের কানে শুনলেন তিনি প্রথম হয়েছেন। হ্যাঁ, কোচবিহারের রামভোলা হাইস্কুল থেকে প্রথম হয়েছেন মাধ্যমিক পরীক্ষায় চন্দ্রচূড় সেন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। এটাই পাল্টে দিল আজকের সকালকে। আত্মহারা মেধাবী ছাত্র চন্দ্রচূড় প্রিয়জনদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরে খুশি।
এই খবর নিজের কানে শোনার পর মা–বাবার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেন। আর সংবাদমাধ্যমে চন্দ্রচূড় বলেন, ‘বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চাই। আর আমি চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই। এই তো মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোলাম। এখনও অনেক পথ চলা বাকি আছে। তবে এমন ফলাফꦗল হবে আশা করিনি। ভাল ফল হবে এটা অবশ্যই প্রত্য💙াশিত ছিল। বাড়ির সবাই জানতেন আমি ভাল রেজাল্ট করব। কারণ আমার পরিশ্রম এবং পরীক্ষা দুটোই ভাল হয়েছিল। তাই আশা একটা ছিল, ভাল ফল হবে। প𒁃্রথম দশজনের মধ্যেও থাকব ভেবেছিলাম। কিন্তু প্রথম হবো ভাবিনি।’
আরও পড়ুন: চন্দ্রশেখর রাওয়ের ভোটপ্রচারে নিষেধাজ্ঞা, কংগ্রেসඣকে ‘কুকথা’ বলে নির্বাচন কমিশনের কোপে
যারা মাধ্যমিক আগামী দিনে দেবে তাদের কী করা উচিত? এই প্রশ্ন তাঁকে ꧃করা হয়। যার জবাবে চন্দ্রচূড় বলেন, ‘শুধু মুখস্থ বিদ্যা করলে এমন সাফল্য আসবে না। বিষয়টিকে বুঝতে হবে। জানার কৌতূহল বাড়িয়ে তুলতে হবে। সহায়িকার সাহায্য আমি নিয়েছিলাম। সেটা নেওয়া যেতে পারে। আর বেশি করে রিভাইজ করতে হবে। নিজের স্কুল এবং শꦆিক্ষকদের আমি ধন্যবাদ জানাই। কারণ তাঁরা আমাকে তৈরি হতে সাহায্য করেছিলেন। পড়াশোনার ফাঁকে একঘেয়েমি কাটাতে আবৃত্তি করতাম। পড়ার জন্য বাঁধাধরা কোনও সময় ছিল না। ইচ্ছে করলেই পড়াশোনা করতাম। আলাদা করে কোনও টাইম টেবিল ছিল না।’