বাংলায় ভোট ছিল ৬টি আসনে। কিন্তু তার মধ্য়ে ৬-এ ৬ পেয়েছে টিএমসি। মাদারিহাট আসনও হাতছাড়া বিজেপির। সবুজ ঝড়ে উড়ে গিয়েছে বিজেপি। কিন্তু কেন? এবার তো বিজেপির কাছে হাতেগরম নানা ইস্যু ছিল। আরজি করের ঘটনা থেকে একের পর এক দুর্নীতির জেরে কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু ভোট তার কোনও প্রভাবই পড়ল না। কেন এই শোচনীয় হার। এবার ফেসবুকে সেকথাই লিখলেন কার্শিয়াংয়ের এমএলএ বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। তিনি বিজেপির টিকিটেই জিতেছিলেন। কিন্তু তারপর নানা ইস্যুতে গেরু💮য়ার সঙ্গে তাঁর সংঘাত হয়েছিল।
তিনি লিখেছেন, ‘কলকাতা অফিস থেকে বিজেপি গোটা বাংলার জন্য সদস্য সংগ্রহ অভিযানের ডাক দিয়েছে। এদিকে বিজেপি অন্দরে এত বিভাজন নিয়ে দলের নেতারা একেবারে চোখ বন্ধ করে রয়েছেন। দল বিধায়কদের কোণঠাসা করে দিচ্ছে আর এমপিদের অপ্🀅রয়োজনীয় গুরুত্ব আর দায়িত্ব দিচ্ছে। টাকার জোরে ভোটে জেতার স্বপ্ন দেখছে। এত রাজনৈতিক ইস্যু থাকা সত্ত্বেও, ইস্যুর কমতি না থাকা সত্ত্বেও সেই ওরা ধর্মের ভিত্তিতে জেতার বিষয়টি নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে।’
‘আদানি আর আম্বানিকে কাঁধে চাপিয়ে রেখে দিয়েছে। 💎আর সেই বিজেপিই দুর্নীতির কথা বলছে। এখানকার আদিবা🌊সী মানুষদের অধিকার রক্ষা করছে না অথচ বাংলাদেশি হিন্দুদের সিএএর নাম করে প্রলোভন দেখাচ্ছে। একশো দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা আটকে রেখে দিয়েছে, তারপর রাজ্য়ে ভোটে জেতার কথা ভাবছে। ’
‘অপর দিকে তৃণমূল মানুষের পাশে থাকছে, ২৬টি গরিব দরদী স্কিম করে ফেলেছে। তার মধ্যে কন্যাশ্রী, গীতাঞ্জলি🌺, কৃষকবন্ধু, নিজ গৃহ নিজ ভূমি, রূপশ্রী, শিশু সাথী🅘, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। একেবারে তৃণমূল স্তরে কাজ করছে ওরা। ’
‘এখন আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন কারা ভোটে জিতবে। আমি বিজেপির মধ্য়ে আত্ম সমালোচনার কোনও পরিবেশ দেখিনিꦗ। তাহলে এমন ফলাফল হত না।’
একেবারে চাঁচাছোলা বিবৃতি দিয়েছেন বিজেপির বিক্ষুব্ধ বিধায়ক। এর আগে লোকসভা ভোটের আগে ভূমিপুত্রকে ভোটে দাঁড় করানোর দাবিতে সরব হয়েছিলেন তিনি। কার্শিয়াংয়ের বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা সরাসরি দাবি করেছিল📖েন এবার পাহাড়ে ভূমিপুত্রকেই প্রার্থী করতে হবে। পাহাড়ের কাꦰউকে প্রার্থী করার দাবিকে ঘিরে জোরালো সওয়াল করেন তিনি। আর সেটা যদি না হয় তবে তিনি নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়ে পড়ার হুমকিও দিয়েছিলেন।
এদিকে এবার বিজেপির ভরাডুবির পরে বিস্ফোরক পোস্ট করলেন কার্শিয়াংয়ের বিধায়ক। তিনি লিখেছেন꧂, টাকার জোরে ভোটে জেতার স্বপ্ন দেখছে। এত রাজনৈতি🍌ক ইস্যু থাকা সত্ত্বেও, ইস্যুর কমতি না থাকা সত্ত্বেও সেই ওরা ধর্মের ভিত্তিতে জেতার বিষয়টি নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে।