কয়েকমাস ধরেই তাঁর বিধবা ভাতা পাচ্ছিলেন না প্রৌঢ়া। কেন তাঁর ভাতা পাচ্ছেন না, তা জানতে পৌরসভায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে পৌর কর্মীরা তাঁকে যা বললেন, সেটা শুনে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন ডানকুনির বাসিন্দা গীতা পাত্র।বিধবা ভাতার খোঁজ নিতে গিয়ে তিনি জানতে পারলেন, যে তাঁর ‘মৃত্যু হয়েছে’! শুধু তাই নয়, সরকারি দফতরে তাঁর মৃত্যু শংসাপত্রও জমা পড়েছে। সে কারণেই তাঁর বিধবা ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা শোনার পর থেকেই নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে সরকারি দফতরের চক্কর কেটে যাচ্ছেন তিনি। এই ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে ডানকুনি পৌরসভার অন্দরে। কীভাবে একজন জীবিত গ্রহীতার মৃত্যুর শংসাপত্র পুরসভায় জমা পড়ল, কোন চক্র এই ধরণের কাজ করেছে, এই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।অবশ্য এই প্রশ্নের উত্তর কেউই দিতে পারছেন না। এ প্রসঙ্গে ডানকুনি পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান অচিন্ত্য কর্মকার বলেন, ‘ওই মহিলার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করে, ওনার ভাতা পুনরায় চালু করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’ অন্য দিকে, এই বিষয়ে মহকুমা শাসক (শ্রীরামপুর) সম্রাট চক্রবর্তী আশ্বাস দিয়েছেন, একজন জীবিত মানুষের নামে কীভাবে মৃত্যুর শংসাপত্র জমা পড়ল, এই বিষযইয়ে খতিয়ে দেখা হবে।পেশায় পরিচারিকা গীতা দেবী জানিয়েছেন, ২৮ বছর আগে তাঁর স্বামী মারা গিয়েছেন। কোনও সন্তান নেই তাঁর। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তিনি শেষ বার ভাতা পেয়েছিলেন। কিন্তু ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই ভাতা ঢোকা বন্ধ হয়ে যায়। বিধবা ভাতার টাকা তিনি না-পেয়ে প্রথমে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ব্যাঙ্ক থেকে তাঁকে পুরসভায় যোগাযোগ করতে বলা হয়। পুরসভায় গিয়ে তিনি জানতে পারেন তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্র জমা পড়েছে। সে কারণেই তাঁর বিধবা ভাতা আটকে গিয়েছে।