মারাত্মক অভিযোগ উঠল ডোমজুড়ের একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। সন্তান 🤪প্রসবের পর পরিবারের অনুমতি না নিয়েই নাকি জরায়ু কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে প্রসূতির। এমনই অভিযোগ তুলেছেন প্রসূতির পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরিবারের লোকজন নার্সিংহোমে এসে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। ঘটনাটি ঘটেছে ডোমজুর থানার অন্তর্গত কাটলিয়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে।
আরও পড়ুন: গলায় অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে মৃত্যু ১৯ বছরের বধূর💜, নার্সিংহোমে বিক্ষোভ পরিজনদের
জানা গিয়েছে, গতকাল সকালে নাসিরা বেগম নামে ওই ওই প্রসূতিকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল সন্তান প্রসবের জন্য। নার্সিংহোমের তরফে জানানো হয়েছিল সিজারের পরেই সন্তান প্রসব করা হবে।সেইমতো নার্সিংহোমে সন্তানও প্রসব করেন নাসিরা। কিন্তু, তারপরেও ঘটে বিপত্তি। অভিযোগ, সন্তান প্রসবের পর তাঁর জরায়ু কেটে বাদ দিয়ে দেন চিকিৎসক। আর এরজন্য তিনি পরিবারের কারও সম্মত নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। এরপরেই রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এই ঘটনার কথা জানতে পেরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের লোকজন। তারা নার্সিংহোমে এসে ভাঙচুরের চেষ্টা চালান।চিকিৎসকের গাড়ি ঘিরে রেখে বিক্ষোভ দেখান। তাঁর গাড়ির চাবি কেড়ে নেন পরিবারের সদস্যরা। 🍌পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। তবে পুলিশের উপস্থিতিতেই নার্সিংহোমের টেবিল ও দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন পরিবারের সদস্যরা। পরে পুলিশ তাদের নার্সিংহোম থেকে বাইরে বের করে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আস🤡ে।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলা অঙ্কুরহাটির বাসিন্দা। পরিবারের দাবি, চিকিৎসকরা নাসিরার সিজার করার কথা বলেছিলেন। সেইমতো সিজার হয়। কিন্তু, নাসিরা বেগমের পরিবারের এক সদস্য জানান, চিকিৎসকরা বলেছিলেন সিজার করা হবে। কিন্তু, সিজারের পরেই নাসিরার জরায়ু কেটে বাদ দেন চিকিৎসক। এরফলে আর কোনওদিন মা হতে পারবেন না নাসিরা। আরও অভিযোগ, প্রসবের পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও পরিবারের কাউকে জানানো হয়নি যে নাসিরা🌃 ছেলে না মেয়ে সন্তান প্রসব করেছেন। শুধু তাই নয়, রক্তের জন্য টাকা না দিলে মা ও শিশুকে ছাড়া হবে না বলেও নার্সিংহোমের তরফে জানানো হয়।
এবিষয়ে নার্সিংহোমের ওই চিকিৎসক অন্তরা দাস পরিবারকে না জানানো🐲র কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, মহিলার স্বামীকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। তার অনুমতি নিয়েই জরায়ু ক▨েটে বাদ দেওয়া হয়েছিল। আর জরায়ু বাদ না দিলে প্রসূতিকে বাঁচানো সম্ভব হতো না। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।