লটারি কাটার নেশায় গলা পর্যন্ত দেনায় ডুবে গিয়েছিল ছেলে। সেই টাকা পাওনাদারদের শোধ করতে চাপ দেওয়ায় বাবাকে খুন করল❀ যুবক। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের𒆙। দীর্ঘ তদন্তের পর ছেলে চিরঞ্জিত ভুঁইয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ছেলের কঠোর শাস্তি চেয়েছেন মা।
আরও পড়ুন - কারও চাকরি যাবে না, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে ২১ 🍃জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে আশ্বাস মমতার
পড়তে থাকুন - 'সারে জাহাঁ সে আচ্ছা লেখেন নজরুল ইসলাম', মমতার কথায় উপহাস BJP নেত্রীর-💮 ভিডিয়ো
পুলিশ ꦇসূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১২ জুলাই রাতে দাসপুরের শ্যামসুন্দরপুরের বাসিন্দা সুদাম ভুঁইয়াকে (৫৭) একটি পুকুর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। ২ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু কে খুন করল সুদামবাবুকে? তদন্তে নেমে নানা সূত্র হাড়াতে শুরু꧂ করে পুলিশ। ঘটনার প্রায় ৭ দিন পর পুলিশ সুদামবাবুরই ছোট ছেলে চিরঞ্জিৎ ভুঁইয়াকে গ্রেফতার করে। এর পরই তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, চিরঞ্জিতের লটারি কাটার নেশা ছিল। সেজন্য বন্ধুদের থেকে প্রౠচুর ধার করেছিলেন তিনি। ধার শোধ করতে না পেরে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে ভিনরাজ্যে চলে যান চিরঞ্জিৎ। এর পর পাওনাদারেরা তাঁর বাবাকে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দিতে থাকেন। এর জেরে সুদামবাবু ছেলেকে বুঝিয়ে ভিনরাজ্য থেকে ফেরত আনেন। ছেলেকে পাওনাদারদের সমস্তꦏ টাকা পরিশোধ করে দিতে বলেন তিনি। কিন্তু পুরো টাকা মেটাতে পারেনি ছেলে। এই নিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে বিবাদ চলছিল।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই বাবাকে নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে দিঘা গিয়েছিলেন চিরঞ্জিৎ। ৫ দিন সেখানে ছিলেন তিনি। এর পর ফিরেও আসেন। ত﷽ার পরই ঘটে এই কাণ্ড।
আরও পড়ুন - ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে༺ বাংলাদেশকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর ডাক দিয়েছেন মমতা: BJP
পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় চিরঞ্জিৎ স্বীকার করেছেন, বার বার টাকা শোধ করতে চাপ দেওয়াতেই বাবাকে খুন করেছেন তিনি। প্রতিদিন রাতে খাওয়ার পর গ্রামের রাস্তায় হাঁটতে বেরোতেন সুদামবাবু। ঘটনার দিন যে র♛াস্তা দিয়ে বাবা হাঁটেন তার 🔯পাশে একটি পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে ছিল চিরঞ্জিৎ। বাবা সেখানে পৌঁছতেই তাঁকে পিছন থেকে ভারী রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে ছেলে। রক্তাক্ত অবস্থায় পুকুরে পড়ে যান সুদামবাবু। বাবাকে ওই অবস্থায় ফেলে বাড়ি চলে আসে ছেলে।
নিহত সুদামবাবুর স্ꦫত্রী জানিয়েছেন, পুলিশ বলছে ছোট ছেলে বাবাকে খুন করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সত্যিই সে এই কাজ করে থাকলে তার কঠোর শাস্তি দাবি করছি।